New subjects are being added to the Higher Secondary Syllabus: উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে (Higher Secondary Syllabus) যুক্ত করা হলো নতুন বিষয় মানসিক স্বাস্থ্য। একাদশ শ্রেণির স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষার সিলেবাসে করা হয়েছে নতুন সংযোজন। সিলেবাসে থাকবে মানসিক স্ট্রেস কি? তার কারণ, ধরণ, বোঝার উপায়, হতাশা ইত্যাদি বিষয়গুলি। মানসিক সাস্থ্যের উন্নতি বা অবনতি কিভাবে ব্যক্তি জীবনকে প্রভাবিত করে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। এই বয়সে শিশুদের মধ্যে যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্যের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, তাই তাদের সিলেবাসের সাথে বিষয়টি সংযুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে কোনরকম অঘটন ঘটনার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আশা রাখছে শিক্ষা দপ্তর।
সারাদেশে ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যার খবর শোনা যায় প্রায়ই। আর এর কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি। কেউ পড়াশোনার চাপে, কেউবা অন্য কোন প্রলোভনে পড়ে হতাশার শিকার হচ্ছে। আর এই হতাশা থেকেই আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত পার্লামেন্টের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ থেকে ২১ সালের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। কিছুদিন আগেই রাজস্থানের কোটা শহরে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে আসে। আইটিআই পড়তে যাওয়া কিছু ছাত্র-ছাত্রী আত্মহত্যা করেন সেই এলাকায়।
মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পড়ুয়াদের সচেতন করতে এবং কোনরকম ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখতে বিষয়বস্তুটিকে সিলেবাসের (Higher Secondary Syllabus)সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর। আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত এক সাইকোলজিস্ট এর মতে ক্লাস সেভেন এইট থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। এর প্রধান কারণ বয়সন্ধি। মোবাইলের প্রতি আসক্তি, পড়াশোনার প্রতি অনীহার কারণে, মাদকাসক্তি ইত্যাদি মানুষের মনে জটিলতার সৃষ্টি করে, মনের উপর চাপ পড়ে। তাই শুরু থেকেই গুরুত্বসহ সহকারে বিবেচনা করা উচিত বিষয়টি।
শারীরিক সুস্থতার দিকে আমরা যতটা নজর দিই তার মানসিক সুস্থতার দিকে আমরা হয়তো ততটা নজর দিই না। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের এক অধ্যক্ষের মতে লকডাউনের সময় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোটরা। তাদের আচার আচরণের পরিবর্তনই তা বলে দিচ্ছে। শিক্ষক মানেই যেহেতু পড়ুয়া কেন্দ্রিক, তাই শিক্ষার্থীদের জীবনের যেকোনো সমস্যা সবার আগে শিক্ষকদের সামনেই আসে এবং সমস্ত শিক্ষক রাই এই বিষয়ে বেশ সংবেদনশীল থাকেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের এক অধ্যাপক বলেন আজ থেকে বেশ কিছু বছর আগে মানসিক সাস্থ সম্পর্কিত বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে একেবারেই অজানা ছিল। এই বিষয়ে সচেতন ছিলেন হাতে গোনা ২-১ জন মানুষ। কিন্তু ধীরে ধীরে এই সংখ্যাটা বেড়েছে। সাধারণ মানুষ শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা নিয়েও সচেতন হচ্ছেন। একজন মানুষ সচেতন হলে তিনি আরও কয়েকজনকে সচেতন করতে পারবেন । এই বিষয়টি যোগ (Higher Secondary Syllabus) মানুষকে শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন হবে সাধারণ মানুষ। সিলেবাসের এই পরিবর্তনের প্রভাব শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে নয়, শিক্ষক এবং অভিভাবক মহলেও পড়বে বলে আশা রাখা যায়।