নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) যুগান্তকারী পরিবর্তনের মধ্যে রেল ট্র্যাকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) ট্রেনের মতো অত্যাধুনিক ট্রেনের সূচনা অন্যতম। ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় রেলের শৃংখল যখন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে সেই সময় এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন যাত্রী পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে। তবে এসবের মধ্যেই বিভিন্ন সময় অত্যাধুনিক এই ট্রেনকে বিপত্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের মত অত্যাধুনিক ট্রেনের উপর কখনো কখনো পাথর ছোঁড়া হচ্ছে আর যার ফলে রেলের হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। যে সকল ঘটনায় যেমন একদিকে রেল যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে, ঠিক সেই রকমই আবার যাত্রাপথে যাতায়াতির ক্ষেত্রেও নানান সমস্যা তৈরি হচ্ছে। আর এবার পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটনা না ঘটলেও আরও একটি বিপত্তির মুখে পড়তে হলো বন্দে ভারতকে।
এপ্রিল মাস থেকে ৩০ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার নতুন এক বিপত্তির মুখোমুখি হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে পাটনাগামী ২২৩৪৭ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে এমন সমস্যা তৈরি হয়। আর যে কারণে দেড় ঘন্টার বেশি সময় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে থাকে দুর্গাপুর রেলস্টেশনে। যেখানে ট্রেনটি বিকেল ৫:৩০ মিনিটে দুর্গাপুর স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা সেই জায়গায় ট্রেনটি ছাড়ে ৭ঃ১৪ মিনিটে। স্বাভাবিক গন্তব্য অর্থাৎ পাটনা পৌঁছায় দীর্ঘ ৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট লেটে রাত ২:১৩ মিনিটে।
আরও পড়ুন ? Vande Metro: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পর এবার বন্দে মেট্রো! কবে চালু হবে, জানা গেল দিনক্ষণ
মঙ্গলবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ দুপুর ৩ টে ৫০ মিনিটেই হাওড়া স্টেশন থেকে পাটনার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু দুর্গাপুর স্টেশন এসে ট্রেনটি থেমে যায়। হাওড়া থেকে দুর্গাপুর আসার মধ্যেই ট্রেনের যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। যে কারণে ট্রেনের যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে রেলের তরফ থেকে কোনরকম ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। দুর্গাপুর স্টেশনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়।
সূত্র মারফত ট্রেনের যে যান্ত্রিক ত্রুটি সম্পর্কে জানা গিয়েছে তা হল, বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে ট্রেনের প্যানটোগ্রাফ ঠিকঠাক সংযোগ হচ্ছিল না। যে কারণে ট্রেনের কামরার মধ্যে থাকা এসি বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এই তীব্র গরমে চারদিক বন্ধ থাকা কামরার এসি বন্ধ হলে কি অবস্থা হবে তা টের পেতেই রেলের তরফ থেকে তড়িঘড়ি ওই প্রযুক্তিগত ত্রুটি সারানোর বন্দোবস্ত করা হয়। দুর্গাপুর স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করানোর পর রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেওয়া হয় এবং সমস্যা মিটিয়ে তারপর ফের ট্রেনটি রওনা দেয় পাটনার উদ্দেশ্যে।