নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েকদিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বিদ্যুৎ বিল (Electricity Bill WBSEDCL) নিয়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে সব জায়গায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এমন ব্যাপক আলোচনার পিছনে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু পোস্ট এবং বিদ্যুৎ বিলের স্ল্যাব পরিবর্তন। আর এই ঘটনা নিয়েই এবার মুখ খুলেছে ডব্লিউবিএসইডিসিএল (WBSEDCL)।
WBSEDCL সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্ট এবং দাবিকে ভুয়ো বলে দাবি করা হলেও তারা যা জানাচ্ছে তাতেই স্পষ্ট, আজ না হয় কাল বিদ্যুৎ খরচ বাড়তে চলেছে রাজ্যের বাসিন্দাদের। রাজ্যের বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধি হতে চলেছে মূলত স্ল্যাবে পরিবর্তন আনার ফলে। এমনকি ডব্লিউবিএসইডিসিএল-এর ওই ভাইরাল পোস্ট নিয়ে মুখ খোলার পর অনেকেই দাবি করছেন, ‘ভোটের কারণেই হয়তো এই নতুন ট্যারিফ প্ল্যান এমনভাবে লাগু করা হয়েছে যাতে করে ভোট চলাকালীন তার প্রভাব না পড়ে।’
এখন দেখে নেওয়া যাক নতুন ট্র্যারিফ নিয়ে ডব্লিউবিএসইডিসিএল কি বলছে? ডাবলুবিএসইডিসিএল-এর বক্তব্য, ‘নতুন ট্র্যারিফ চালু হয়েছে গত ১ এপ্রিল। এক্ষেত্রে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যে ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে তা পুরাতন ট্যারিফ অনুযায়ী আসবে।’ সুতরাং ডব্লিউবিএসইডিসিএল এর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, আজ না হয় কাল নতুন ট্র্যারিফ অনুযায়ী গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল বাড়তে চলেছে। আবার এই নতুন ট্র্যারিফ সমস্ত গ্রাহকদের কিনা তাও স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই। মোটের উপর পুরো বিষয়টি ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। এমনকি মে মাসে নতুন রিডিং দেখার ক্ষেত্রেও ইলেকট্রিক বিলে রয়েছে নানান ধোঁয়াশা।
অন্যদিকে নতুন ট্যারিফ লাগু হলে গ্রাহকদের যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে তা হল, গ্রামীণ এলাকায় ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হলে তিন মাসের বিল অনুযায়ী টাকার পরিমাণ হওয়া দরকার ১৬৯৯.৫০ টাকা। কিন্তু নতুন স্ল্যাব অনুযায়ী তা হবে ১৯৫৯.০৩ টাকা। অর্থাৎ ২৫৯.৫৩ টাকা বেশি খরচ হবে। ২৫০ ইউনিটের ক্ষেত্রে বিল আসার কথা ১৫৬৩ টাকা, কিন্তু স্ল্যাব পরিবর্তন হওয়ায় বিল আসবে ১৭৪৮ টাকা। অর্থাৎ বেশি খরচ হবে ১৮৫ টাকা
আগে যে ট্র্যারিফ প্ল্যান অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিল ধার্য করা হতো তার থেকে নতুন যে ট্যারিফ প্ল্যানে বিদ্যুৎ বিল ধার্য করা হবে, তা অনুযায়ী গ্রাহকদের অন্ততপক্ষে তিনগুণ বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকেই। আর নতুন হিসেব অনুযায়ী বিদ্যুৎ খুব তাড়াতাড়ি ধার্য হওয়া শুরু হবে এটাই হিসেবে দাঁড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে ডব্লিউবিএসইডিসিএল সরাসরি ইউনিট চার্জ না বাড়িয়ে স্ল্যাবে পরিবর্তন এনেছে।