নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে আলোচিত প্রার্থী যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রেখা পাত্র (Rekha Patra)। যিনি এবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন। সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্র এবার নজর কাড়লেন তার সম্পত্তিতে (Rekha Patra Property)।
যেখানে অন্যান্য প্রার্থীদের লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নজরে আসতে দেখা যাচ্ছে সেই জায়গায় রেখা পাত্রের সম্পত্তি এতটাই নগণ্য যে তার সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা না করলেই নয়। বৃহস্পতিবার তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে জমা দিয়েছেন হলফনামা। রেখা পাত্রের যে পরিমাণ সম্পত্তি এবং রোজগার রয়েছে তাতে তার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার কোন তথ্য নেই হলফনামায়। রেখা পাত্রের মতোই তার স্বামী সন্দীপ পাত্রেরও কোন তথ্য নেই। তবে রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
রেখা পাত্র হলফনামায় নিজের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তা থেকে জানা যাচ্ছে, তার হাতে রয়েছে নগদ মাত্র তিন হাজার টাকা। নির্বাচনী অ্যাকাউন্ট সহ তার মোট দুটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই দুটি অ্যাকাউন্টের মধ্যে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৭৬৪.৫৪ টাকা। অন্যদিকে তার স্বামী সন্দীপ পাত্রের নামে থাকা একমাত্র অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে ৪ হাজার ৬৯২ টাকা। রেখা পাত্র অথবা তার স্বামী সন্দীপ পাত্রের এর বাইরে না আছে কোন ফিক্সড ডিপোজিট, না আছে কোন অলংকার, না আছে কোনরকম যানবাহন। হিসেব অনুযায়ী রেখা পাত্রের মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ১০ হাজার ৭৬৪.৫৪ টাকা এবং তার স্বামীর মাত্র ৪ হাজার ৬৯২ টাকা।
এবার যদি তাদের দুজনের স্থাবর সম্পত্তির দিকে চোখ রাখা যায় তাহলে দেখা যাবে, রেখা পাত্র অথবা তার স্বামী সন্দীপ পাত্রের না আছে কোন চাষযোগ্য জমি, না আছে কোন অচাষযোগ্য জমি, না আছে কোনো বাণিজ্যিক বাড়ি, না আছে কোনো বাড়িঘর। এর পাশাপাশি তাদের নামে কোনরকম ঋণ নেই। হলফনামা অনুযায়ী তাদের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ শূন্য।
হলফনামায় রেখা পাত্র জানিয়েছেন তিনি নিজে একজন গৃহবধূ, অন্যদিকে তার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার স্বামী একজন পরিযায়ী শ্রমিক বলেই জানা যায় স্থানীয় সূত্রে। অন্যদিকে রেখা পাত্র তার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, ২০০৩ সালে তিনি উত্তর বউঠাকুরানি এফ পি বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ।