BRI Plan Of China: পুরো জলে চীনের ৭ বছরের প্ল্যান! ভারতের সতর্কতায় নেপালে বারবার ব্যর্থ বেজিং

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের প্রতিবেশী দেশ হলেও চীন কিন্তু বছরের পর বছর ধরে নিজেদের আগ্রাসন নীতি নিয়েই চলেছে। চীনের (China) এমন আগ্রাসন নীতির কারণে কেবলমাত্র ভারতের (India) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ তা নয়, আশা করছি বিশ্বের বহু দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ। তবে এসবের মধ্যেও ভারতের সতর্কতায় নেপালে চীনের প্ল্যান ৭ বছরেও পূরণ হচ্ছে না। ভারতের সর্তকতা খুব সাবধানে পা বাড়াচ্ছে নেপাল আর তাতেই জলে যাচ্ছে চীনের প্ল্যান।

Advertisements

চীন নিজেদের আগ্রাসন নীতি নিয়ে বিশ্বের বহু ছোট ছোট দেশ রয়েছে যেগুলিকে ঋণের ফাঁদে ফেলেছে আর সেই দিনের ফাঁদে ফেলে রীতিমতো সেই দেশে নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করেছে। প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ বিভিন্নভাবে চীনকে এই ধরনের প্ল্যানে সামিল হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ভারতের বারংবার সর্তকতার ফলে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (Belt and Road Initiative) এখনো পর্যন্ত ব্যর্থ ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালে। এই প্ল্যান হলো চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের স্বপ্নের প্ল্যান বা প্রকল্প (BRI Plan Of China)।

Advertisements

নেপালের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিআরআই প্রকল্প স্বাক্ষর হওয়ার ৭ বছর পেরিয়ে গিয়েছে, তবে ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যদিও আবার চীন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি করছে, বিআরআই প্রকল্পের আওতায় নেপালের চলমান প্রকল্পগুলি তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু নেপাল চীনের এই দাবিকে পুরোপুরি ভাবে নস্যাৎ করেছে। এই প্রকল্প শুরু না হওয়া অথবা প্রকল্প নিয়ে নেপাল ও চীনের মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ হলো ঋণ নিয়ে। নেপাল চাইছে চীন তাদের ঋণ না দিয়ে অনুদান দিক। কিন্তু নেপালের সেই চাওয়া-পাওয়া নিয়েই রয়েছে দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব। কেননা বেজিং অনুদান দিতে চাইছে না, তারা ঋণ দেওয়ার জন্য স্থির করে নিয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? IRCTC Nepal Tour: থাকা, খাওয়ার চিন্তা নেই! খরচও লাগবে নামমাত্র, IRCTC দিচ্ছে নেপাল দুর্দান্ত সুযোগ

বিআরআই প্রকল্প নিয়ে নেপাল ও চিনের মধ্যে স্বাক্ষর হয় ২০১৭ সালের ১২ মে। কিন্তু তারপর ঋণের টোপ নিয়ে ভারত নেপালকে সতর্ক করে। শুধু ভারত নয়, ভারতের পাশাপাশি নেপালকে সতর্ক করে আমেরিকাও। কিন্তু তারপর এই প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়িত করা হবে সেই বিষয়টি খুব বেশি সুদূরপ্রসারী হয়নি বলেই দাবি করা হচ্ছে নেপালের সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে। এমনকি গতবছর নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহন প্রচন্ড চীন সফরে গিয়ে বিআরআই কিভাবে বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে আলোচনা হলেও এখনো পর্যন্ত কোন কিছু এগোয়নি।

পুষ্প কমল দহন প্রচন্ডের সরকার আসার আগেও যে সকল সরকার ছিল, নেপালের সেই সকল সরকারের তরফ থেকে বারবার চীনকে জানানো হয়, তারা তাদের থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। এমনকি বর্তমান প্রচন্ডের সরকারের আমলেও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি এখনো হয়নি। আর এই পরিস্থিতিতে তারা চীন হোক অথবা অন্য কোন দেশ থেকে ঋণ নিয়ে নিজেদের অর্থনীতির উপর চাপ দিতে পারবেন না। এর পাশাপাশি নেপালের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী মহেন্দ্র বাহাদুর পাণ্ডে জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের জন্য চীনের থেকে উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে সঠিক সময়ে কাজ শেষ করা হলেও ঋণ পরিশোধ করা কঠিন বিষয়। নেপালের থেকে বিআরআই প্রকল্প নিয়ে এইভাবে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর চীন এখন ছোট ছোট প্রকল্পগুলিতে মনোনিবেশ করছে। চীন যার নাম দিয়েছে সিল্করোড রোডস্টার। তবে মোটের উপর চীন কিন্তু নেপালকে পাখির চোখ পড়ে এখনো ফাঁদে ফেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements