নিজস্ব প্রতিবেদন : যে মানুষটি প্রতিদিন ১০০ টাকা রোজগার করে থাকেন তারও কোটিপতি হওয়ার শখ থাকে। তবে অনেকেই রয়েছেন যারা এই সকল শখ দেখে ঠাট্টার ছলে হ্যাটা করে বলে থাকেন ‘ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা’। তবে ছেঁড়া কাঁথাতে শুয়েও যে কোটিপতি হওয়া যায়, তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ঠিক সেই রকমই এমন ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করলেন নিমাই বাবু। নিমাই বাবু এখন রাজমিস্ত্রি থেকে কোটিপতি (Mason to Crorepati)।
আসলে হামেশাই এই ধরনের ঘটনা এখন সামনে আসছে, দেখা যাচ্ছে কেউ চাওয়ালা থেকে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠলেন, কেউ আবার মাছ বিক্রেতা থেকে কোটিপতি। ঠিক সেই রকমই রাজমিস্ত্রি থেকে এবার কোটিপতি হয়ে উঠেছেন নিমাইবাবু মূলত লটারির টিকিটের দৌলতে। ডিয়ার লটারিতে (Dear Lottery) তিনি পুরস্কার পেয়ে এমন কোটিপতি হয়েছেন।
মালদার ইংলিশ বাজার ব্লকের ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তাঁতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা হলেন নিমাই সরকার। তার বাড়িতে দুই কন্যা সন্তান ও পুত্র সন্তান রয়েছে। তিন সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালানোর জন্য রীতিমতো মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় নিমাই সরকারকে। সংসার চালাতে তাকে রাজমিস্ত্রির পেশা বেছে নিতে হয়েছে এবং সেই পেশার ওপর ভর করেই যা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার চালান তিনি। তবে ভাগ্য বদলানোর সখ কার না থাকে!
আরও পড়ুন ? LIC Jeevan Shiromani Plan: লটারির ভাগ্যের খেলা অতীত! এবার LIC-র এই স্কিমই দিচ্ছে ১ কোটি
আর সেই ভাগ্য বদলানোর শখের নেশাতেই নিমাইবাবু মঙ্গলবার ১২০ টাকার ডিয়ার লটারির টিকিট কেটেছিলেন। তবে তিনি প্রথম পুরস্কার পাবেন সেটা ভেবে উঠতে পারেননি। যখন লটারির টিকিটের ফলাফল প্রকাশ পায় তখন দেখা যায় তার টিকিট এই উঠেছে প্রথম পুরস্কার। লটারির টিকিটে কোটি টাকা পুরস্কার জেতার পর নিমাইবাবু নিকটবর্তী মিল্কি ফাঁড়ির দ্বারস্থ হন নিজের সুরক্ষার জন্য।
এদিকে এইভাবে লটারির টিকিটে কোটি টাকা জয়ের পর ভেজা ভেজা চোখে নিমাই বাবু জানিয়েছেন, তিনি নিজে রাজমিস্ত্রি হলেও তার আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে নিজে একটি ভালো বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। এছাড়াও পাঁচজনের সংসার চালাতে রীতিমতো তাকে হিমশিম খেতে হয়। এই পরিস্থিতিতে কোটি টাকা জিতে তিনি সবাইকে খুশিতে রাখতে চান আর নিজের পছন্দমত একটি বাড়ি তৈরি করতে চান। এছাড়াও তিনি এইভাবে পুরস্কার পাওয়ার পর দাবি করেছেন, আর কোনদিন লটারির টিকিটের পিছনে এইভাবে আলাদা করে টাকা ঢালবেন না।