Brother Jimmy Novel Tata is more accustomed to living a simple life than Ratan Tata: টাটা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির নামটা মনে পড়লেই প্রথম মনে আসে রতন টাটার নাম। টাটা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিয়ালের চেয়ারম্যান রতন টাটা। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৮০০ কোটির বেশি। তবে রতন টাটাকে সাধারণ মানুষ শিল্পপতি কম উদ্দ্যোগপতি মনে করেন বেশি। কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক হওয়া সত্ত্বেও অতি সাধারণ জীবন যাপন আকর্ষণ করে অনেককে। অনেকের কাছেই তিনি আইডিয়াল পারসেন। রতন টাটার জীবনী আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু তার ভাই (Jimmy Novel Tata) এর কথা হয়তো অনেকেই জানেন না।
রতন টাটার ছোট ভাই জিমি নোভেলল টাটা (Jimmy Novel Tata)। টাটা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শেয়ার হোল্ডার। টিসিএস, টাটা কেমিক্যালস, টাটা সন্স, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস ইত্যাদি প্রকল্পের শেয়ার হোল্ডার তিনি। রতন টাটা লাইম লাইটের মধ্যে থাকলেও, তার ছোট ভাই জিমি কিন্তু প্রচার মাধ্যম থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করেন। স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি জিমি নোভেল টাটা। ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকলেও ব্যবসার প্রতি তেমন আগ্রহ নেই তাঁর। তিনি নোভেল টাটা এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী সুনি কমিশরিয়েটরের দ্বিতীয় সন্তান।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ইন্সটাগ্রামে ভাই নোভেল টাটাকে নিয়ে, স্মৃতিচারণ করতে দেখা যায় রতন টাটাকে। ২০২৩ সালে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি শেয়ার করেন রতন টাটা। ছবিটি রতন টাটা ও তাঁর ভাই জিমি নোভেলল টাটার। ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। ছবিটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ক্যাপশনে রতন টাটা লেখেন, “১৯৪৫ এ তোলা ছবি আমার ভাই জিমির সাথে। তখনও আমাদের মধ্যে কিছু আসেনি। এগুলো খুশির দিন ছিল”।
আরও পড়ুন ? Tata Punch: ন্যানোকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন রতন টাটা, সেই স্বপ্ন পূরণ করলো টাটা পাঞ্চ
তথ্যসূত্রে জানা গেছে, টাটা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান রতন টাটার থেকেও নাকি সাধারণ জীবন যাপন করেন তার ভাই জিমি নোভেল টাটা (Jimmy Novel Tata)। টাটা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রির একাধিক প্রকল্পের শেয়ারহোল্ডার হবার কারণে, দাদার তুলনায় ভাইয়ের সম্পত্তির পরিমাণও খুব একটা কম নয়। তিনিও দাদার মতনই সাধারণ জীবন যাপন করতেইও অভ্যস্ত। তার কাছে কোন মোবাইল ফোনও নেই। বাড়ির বাইরে খুব একটা সময় কাটানো তার পছন্দ নয়। ঘরে থেকে বই, খবরের কাগজ এইসব নিয়ে সময় কাটাতে ভালোবাসেন তিনি।
জিমি নোভেল টাটা (Jimmy Novel Tata) থাকেন মুম্বাইয়ের কোলাবায়। একটি বহুতল আবাসনের ষষ্ঠ তলায় তাঁর বাড়ি। তাঁর খুব কাছের একজন ব্যবসায়ী বন্ধু হলেন হর্ষ গোয়েঙ্কা। তাঁর মুখ থেকেই শোনা যায়, জিমি নোভেল টাটার জীবনের কিছু কাহিনী। হর্ষ গোয়েঙ্কা বলেন একসময় খুব ভালো স্কোয়াশ খেলতে পারতেন জিমি নোবেল টাটা। গোয়েঙ্কাকে প্রায় প্রত্যেকটা ম্যাচেই হারিয়ে দিতেন তিনি। বর্তমানে অতি সাধারণ জীবন যাপন করেন তিনি। নোবেল টাটা বসবাস করেন মূলত ২ কামরার একটি অ্যাপার্টমেন্টে।