Cyclone Remal Name Meaning: কারা রাখল ঘূর্ণিঝড় রেমালের নাম, এই নামের অর্থ কি

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিভিন্ন হাওয়া অফিস সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে মোটামুটি মে মাসের ২৩ থেকে ২৪ তারিখ নাগাদই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। সেই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে শক্তি বৃদ্ধি করে গভীর নিম্নচাপ এবং তারপর তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। কেননা ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে যে সকল শর্তের প্রয়োজন হয় তার সমস্তটাই এখন বঙ্গোপসাগরের উপর বিরাজ রয়েছে।

Advertisements

ঘূর্ণিঝড় তৈরির ক্ষেত্রে যে সকল শর্তের প্রয়োজন হয় তার মধ্যে বড় শর্ত হলো সমুদ্রের উপরিভাগের উষ্ণতা। সমুদ্রের উপরিভাগের উষ্ণতা অন্ততপক্ষে ২৬.৫° প্রয়োজন হয়ে থাকে এবং সেই উষ্ণতা ৫০ মিটার দূরে থাকতে হয়। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা রয়েছে ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকভাবেই তা নিম্নচাপের শক্তি বৃদ্ধির জন্য অনুকূল।

Advertisements

হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী যদি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে রেমাল (Cyclone Remal)। এক একটি ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা আলাদা নামকরণ করা হয়ে থাকে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত থাকা দেশগুলি তালিকা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রেমাল নামকরণ কোন দেশ পড়ল এবং এই নামের অর্থ (Cyclone Remal Name Meaning) কি?

Advertisements

আরও পড়ুন ? Cyclone Latest Update: একটি নয়, জোড়া! ভয় ধরাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল, শেষ আপডেটে কী জানাল হাওয়া অফিস

জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়ার বিষয়ে যে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তা তৈরি হলে তার নাম হবে রেমাল। এই ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করেছে ওমান। রেমাল শব্দটি একটি আরবি শব্দ, এই শব্দের অর্থ হলো বালু। বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার প্রভাবে আগামী ২৪ মে থেকে বৃষ্টি দেখা যাবে বাংলাদেশ উপকূলে, ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর তা চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।

হাওয়া অফিস সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে, ২৩ মে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে এবং সেই নিম্নচাপ ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ওই নিম্নচাপ শক্তি বৃদ্ধি করে ২৪ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরবর্তীতে আরও শক্তি সঞ্চয় করে অতি গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। এখনো পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় কোথায় আছড়ে পড়বে তা সম্পর্কে জানানো না হলেও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে অনুমান করা হচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব পড়বে না বাংলার উপর। এছাড়াও এই ঘূর্ণিঝড় আমফান অথবা ফণী ঘূর্ণিঝড়ের মতো শক্তিশালী হবে না। এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।

Advertisements