নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে দিন দিন বেড়ে চলেছে টোটোর (Toto) সংখ্যা। আইনি-বেআইনি সব ধরনের টোটো মিলে যেভাবে রাজ্যজুড়ে জেরে তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাতে হামেশাই বিভিন্ন জায়গায় যানজট তৈরি হয় বলে অভিযোগ। আর এই ধরনের ঘটনায় লাগাম টানতে বিভিন্ন সময় প্রশাসনের তরফ থেকে অভিযান চালানো হয়ে থাকে। তবে এবার শুধু যানজট পাকানো নয়, টোটোর বিরুদ্ধে আরও বড় অভিযোগ উঠল, আর যে অভিযোগের ফলাফল ভুগতে হচ্ছে সবাইকে।
রাজ্যজুড়ে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে টোটো চলার কারণে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাটে প্রচুর যানজটের সৃষ্টি হওয়ার কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার অভিযান চালিয়েও অবশ্য লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে এবার টোটোর বিরুদ্ধে যে বড় অভিযোগ উঠল তা হল লোডশেডিং। টোটোর কারণে রাজ্যে বাড়ছে লোডশেডিং (Toto Causes Load Shedding)। ঠিক এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফ থেকে।
টোটোর কারণে রাজ্যে লোডশেডিং বাড়ার যে দাবি করা হচ্ছে তার পিছনে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফ থেকে যুক্তি পেশ করা হয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে যেমন মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে টোটো বেড়ে গিয়েছে, ঠিক সেই রকমই ওই সকল টোটোর অধিকাংশ টোটোই রাতের বেলায় চার্জে বসিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সারারাত ধরে চলে চার্জ। আর এর ফলেই চাপ বাড়ছে।
বিদ্যুৎ পর্ষদের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুমিত মুখোপাধ্যায় উদাহরণ দিয়ে জানিয়েছেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো ছোট জেলাতেও এখন আগের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এত বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় যোগানে ঘাটতি হচ্ছে আর যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে টোটো ছাড়াও আরও বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলির জন্য লোডশেডিং বাড়ছে।
টোটো ছাড়াও এখন বহু মানুষ রয়েছেন যারা কাগজপত্র অর্থাৎ বিদ্যুৎ দপ্তরকে না জানিয়েই বাড়িতে এসি লাগিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাছে কোন এলাকার রোড সম্পর্কে সঠিক তথ্য থাকছে না। আর সঠিক তথ্য না থাকার কারণে হঠাৎ হঠাৎ করে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা আর সেই কারণেই বাড়ছে লোডশেডিং। পর্ষদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাতে লক্ষ লক্ষ ব্যাটারি চার্জ হচ্ছে গোটা রাজ্যে। এই সকল ব্যাটারি চার্জ হওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে ডোমেস্টিক রেটে, যাও বেআইনি।