Take a one day trip from Tarapith to have both visit and punya: পশ্চিমবঙ্গের প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান গুলির মধ্যে অন্যতম তারাপীঠ (Tarapith)। মূলত সিদ্ধ পিঠ বা তন্ত্র পিঠ হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন প্রায় কয়েক হাজার ভক্ত তারা মায়ের পূজো দিতে আসেন এই মন্দিরে। তারাপীঠ ছাড়াও বীরভূম এলাকায় আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। পুণ্য লাভের আশায় প্রতিদিন প্রচুর ভক্তের সমাগম হয় এই মন্দিরে। কিন্তু দূর থেকে আসা ভক্তরা পূজো দেবার পর থাকবেন কোথায়? আশপাশে আর কি কি ঘুরে দেখার জায়গা রয়েছে? সবকিছুর খোঁজ রইলো আজকের প্রতিবেদনে।
শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে রামপুরহাটগামী যে কোন ট্রেনে করে চলে আসতে পারেন তারাপীঠ (Tarapith)। রামপুরহাট স্টেশনে নেমে তারাপীঠ পৌঁছানোর জন্য অনেক যানবাহন পাওয়া যাবে। রামপুরহাট স্টেশন থেকে তারাপীঠ মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৯ কিলোমিটার। কোন যানবাহন ব্যবহার করলে খরচ হবে মাত্র ৪০ টাকা। আপনি চাইলে নিজের বাড়ি থেকে সরাসরি গাড়ি করেও তারাপীঠ মন্দির অব্দি পৌঁছাতে পারেন। যেহেতু প্রতিদিনই এখানে অনেক মানুষ আসেন তাই থাকার জায়গার কোনো সমস্যা নেই। তারাপীঠ এলাকায় সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় কয়েক হাজার ছোট, বড় হোটেল রয়েছে। আর্থিক ক্ষমতা অনুযায়ী, আপনি আপনার পছন্দের ঘরটি বেছে নিতে পারবেন। এছাড়া রয়েছে ভারত সেবাশ্রম। সেখানে স্বল্পমূল্যে থাকা খাওয়া দুটোর সুযোগ সুবিধাই পাওয়া যাবে।
তারাপীঠে (Tarapith) তারা মায়ের মন্দির ও তৎসংলগ্ন মহাশ্মশান অত্যন্ত জনপ্রিয় পুণ্যস্থান হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে বীরচন্দ্রপুরের ইসকন মন্দির। তারাপীঠের মূল মন্দির থেকে ইসকন মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার। আরো আছে ঘোষ গ্রামের আদি লক্ষী বাড়ি। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ যাবার পথেই মাঝখানে পড়বে আটলা গ্রাম। সাধক বামাক্ষ্যাপার পৈত্রিক ভিটে আছে সেখানে। কিছুদিন আগে রামপুরহাট স্টেশন ও তারাপীঠের মধ্যবর্তী এলাকায় একটি নতুন লক্ষী নারায়ণের মন্দির তৈরি করা হয়েছে। লোকনাথ রিসোর্ট এর পাশে অবস্থিত এই মন্দিরটিও পুণ্যার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন ? Tourist Destination: হাতে সময় কম! একদিনের দিনের জন্য ঘুরে আসতে বেছে নিন হাতের কাছেই থাকা এই স্পট
লাল মাটির জেলা বীরভূমকে মা কালীর চরণভূমি বলা হয়। তারাপীঠ (Tarapith) ছাড়াও এখানে রয়েছে আরও ৫ টি সতী পীঠ। আপনি চাইলেই দেখে আসতে পারেন বক্রেশ্বরের উষ্ণ জলপ্রপাত। বক্রেশ্বর মন্দিরটিও অন্যতম সতী পিঠ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া রয়েছে ফুল্লরা, নন্দীকেশরী, ললাটেশ্বরী ও কঙ্কালীতলা। এই সতীপীঠ গুলো ও পুণ্যার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। একটু সকাল সকাল বেরোতে পারলেই সবকটি তীর্থস্থান একদিনেই দর্শন করে বিকেলের মধ্যে ফিরে আসতে পারবেন। প্রথম দিন তারাপীঠে পুজো দিয়ে আশপাশের ভ্রমণ স্থানগুলো দেখে নিয়ে, পরের দিন ৫ টি সতি পীঠ একসাথে দর্শন করে আসতে পারেন।
হাতে যদি আরও একদিন সময় বেশি পান, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন তারাপীঠের (Tarapith) খুব কাছে অবস্থিত বিখ্যাত সোনাঝুরির হাট, বিশ্বভারতী ভবন। কঙ্কালীতলা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই অবস্থিত সোনাঝুরির হাট। আর তার ঠিক পাশেই কোপাই নদী। নিরিবিলিতে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে ঐ নদীর ধারে বসে থাকতে বেশ ভালো লাগে। আরো কিছুদূর গেলেই বোলপুর শান্তিনিকেতন। রবি ঠাকুরের নিজে হাতে সৃষ্টি করা বিশ্ব ভারতী প্রাঙ্গণে গেলে, দেখে আসতে পারবেন উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা, তিন পাহাড়, বকুল বিথি আরও কত কি!