নিজস্ব প্রতিবেদন : অনেকের কাছেই ইতিমধ্যেই খবর পৌঁছে গিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তাকে নিয়ে। কেননা এই শহরের জনবসতি, স্কুল কলেজ, প্রশাসনিক ভবন, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট সহ সবকিছু ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৪০% অংশ জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে। আর এই কারণেই ইন্দোনেশিয়া সরকার তড়িঘড়ি তাদের রাজধানী অন্যত্র স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
মূলত বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫° সেলসিয়াসের উপরে। জলবায়ুর এমন পরিবর্তনের পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হল পৃথিবীর মাটির অভ্যন্তরে যে কোটি কোটি কার্বন বছরের পর বছর ধরে বিদ্যমান রয়েছে তা ক্রমেই নিষ্কাশনের কারণে জলস্তর বাড়ছে। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কেননা আধুনিকীকরণ ও শিল্পোন্নয়নের ফলে পৃথিবীর মাটি থেকে যে কার্বন সংগঠিত হচ্ছে তা থেকে তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণে কার্বন-ডাই-অক্সাইড। যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড তাপ শোষণ করার ফলে ধীরে ধীরে গলতে শুরু করেছে হিমবাহ।
এমন পরিস্থিতিতে কেবলমাত্র ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা নয়, একইভাবে জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বিশ্বের আরও ১০টি শহরের। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এখন চুপ করে বসে থাকার সময় নেই বলেও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কেননা জাকার্তার পাশাপাশি জলবায়ুর এমন পরিবর্তনের ফলে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও আগামী দিনে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা ইতিমধ্যেই ঝাঁ চকচকে এই শহরটি বৃষ্টির দিনে প্রবল প্লাবনের মুখোমুখি হতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন ? Four Monsoon Travel Destinations: সামনেই বর্ষা, ঘুরতে যেতে মন চাইলে পাহাড় থেকে সমুদ্র রইল ৪ ঠিকানা
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা অথবা থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ছাড়াও আরও যে সকল শহর এমন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে রয়েছে সেগুলি হল আমেরিকার সাভানা ও নিউ অরলিন্স, গনির রাজধানী জর্জটাউন, ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি, ইতালির ভেনিস সিটি, ইরাকের বসরা, নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম। আর এই তালিকাতেই রয়েছে ভারতের দুটি জনপ্রিয় শহর কলকাতা এবং মুম্বাই।
বিশ্বের এই সকল দেশগুলি জলের তলায় তলিয়ে যাওয়ার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সেই বিষয়টি অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য না হলেও আবার হাতে যে খুব বেশি সময় রয়েছে তাও নয়। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, যদি এখনই কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যেই একে একে এই সকল শহরকে তলিয়ে যেতে দেখা যাবে। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে এই সকল শহরে আর কোনরকম স্কুল কলেজ, খেলার মাঠ, পার্ক ইত্যাদির অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা এমন অঘটন যাতে না ঘটে তার জন্য অবিলম্বে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন।