নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোট এলেই নেতা-নেত্রীদের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে নতুন নতুন ঘোষণায় চমক দিতে দেখা যায়। একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের তরফ থেকেও বারবার চমক দিতে দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সবচেয়ে বড় চমক দেখা যাচ্ছে একটি প্রকল্পে আর সেই প্রকল্পের নাম হলো লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)।
ভোট এলেই সেই ভোট বৈতরণী পার করার জন্য তৃণমূলের তরফ থেকে বারবার এই সরকারি প্রকল্পকে হাতিয়ার করা হয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের তরফ থেকে এই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বড় অংশ মনে করছেন, সরকারের প্রত্যাবর্তনের পিছনে তাদের এই প্রকল্পই বড় ভূমিকা পালন করেছে। আর এবার লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে একের পর এক নতুন নতুন ঘোষণা করতে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Bandopadhyay)।
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে যেখানে সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা ৫০০ টাকা পেতেন, তাদের সেই টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০০০ টাকা। তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২০০ টাকা। আর এবার বাঁকুড়ার ওন্দার সভা থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বয়স নিয়ে আরও বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে বয়স নিয়ে যে নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম অনুযায়ী, ২৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত বয়সী মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ষাট বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর আর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় না। কিন্তু সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যে ঘোষণা করেছেন তাতে উপভোক্তাদের ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলেও আর চিন্তা নেই। কেননা এবার আজীবন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা করলেন তিনি।
New announcement for lakshkir Bhandar pic.twitter.com/H20HZ2I3oB
— BanglaXp Official (@BanglaXpBengali) May 21, 2024
বাঁকুড়ায় আয়োজিত ওই সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানান, “লক্ষ্মীর ভান্ডার চলছে, চলবে। যাদের ৬০ বছর হয়ে গিয়েছে তারাও পাবে। আজীবন কাল পাবে।” মুখ্যমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর মনে করা হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের ক্ষেত্রে বয়সের যে উর্ধ্বসীমা ছিল তা তুলে নেওয়া হবে। আর উপভোক্তারা আজীবনকাল এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।