নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) পরিষেবা হলো ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের লাইফ লাইন। প্রতিদিন দেশের প্রায় দু’কোটি মানুষ ট্রেনে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন। রেলের তরফ থেকে এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রায় ১৩ হাজার ট্রেন চালিয়ে থাকে।
রেলের নিয়ম অনুযায়ী যে সকল যাত্রীরা ট্রেনে যাতায়াত করেন তাদের কাছে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হয় বৈধ টিকিট। বৈধ টিকিট না থাকলেই যাত্রীদের ধরে তাদের থেকে বিপুল পরিমাণে জরিমানা (Without Train Ticket Penalty) আদায় করে থাকে রেল। জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে কোন ডিভিশন বেশি জরিমানা আদায় করল আর কোন ডিভিশন কম তা নিয়ে রীতিমতো অঘোষিত প্রতিদ্বন্দ্বিতাও চলে থাকে। আর এবার এই নিয়েই তাক লাগানো খবর সামনে এলো পূর্ব রেলের (Eastern Railway)।
পূর্ব রেলের তরফ থেকে অবশ্য বিনা টিকিটে যাত্রীদের থেকে জরিমানা আদায় করে আয় বৃদ্ধি করায় লক্ষ্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের দাবি, যাত্রীদের আরও স্বাচ্ছন্দ দেওয়া তাদের প্রথম লক্ষ্য। পাশাপাশি নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার দিকটিও তাদের কাছে অন্যতম লক্ষ্য। যে কারণেই বৈধ টিকিট নিয়ে যাত্রীদের ট্রেনে সফর করার জন্য বারবার সচেতন করা হয়। এতে সব পক্ষেরই ভালো।
আরও পড়ুন ? SBSTC North Bengal Bus: ট্রেনের টিকিটের ক্রাইসিস, চিন্তা নেই! এবার সস্তায় উত্তরবঙ্গ পৌঁছে দেবে SBSTC
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনা টিকিটে যাতে যাত্রীরা ট্রেনে সফর না করেন তার জন্য যে অভিযান চালানো হয় সেই অভিযান চলবেই। আর এই অভিযান চালাতে গিয়ে বিনা টিকিটের যাত্রীদের থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত পূর্ব রেল যে পরিমাণ টাকা জরিমানা স্বরূপ আদায় করেছে তা হল ৭.৫৫৯ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে এই টাকার পরিমাণ ছিল ৬.৭৫৪ কোটি টাকা। হিসেব অনুযায়ী ১২.০৭ শতাংশ জরিমানা আদায় বেড়েছে।
বিপুল পরিমাণ জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে পূর্ব রেলের চারটি ডিভিশনের মধ্যে তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে হাওড়া ডিভিশন। আর এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থেকে পদে পদে টক্কর দিয়েছে আসানসোল ডিভিশন। তালিকায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে শিয়ালদা ও মালদা ডিভিশন। হাওড়া ডিভিশন মোট জরিমানা আদায় করেছে ৩.০২২ কোটি টাকা। আসানসোল ডিভিশন আদায় করেছে ২.০৩০ কোটি টাকা। অন্যদিকে শিয়ালদা ডিভিশন আদায় করেছে ১.৬৪৪ কোটি টাকা ও মালদা ডিভিশন আদায় করেছে ০.৮৬৩ কোটি টাকা।