Process of Mango Ripening may causes cancer: ফলের রাজা হল আম, এটি দেশের জাতীয় ফল হিসেবেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। গ্রীষ্মকালে পাকা আম খায় না এমন লোক বোধহয় নেই। যখনই গরমের তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হবে তখনই মনে পড়বে কাঁচা আমের কথা। শুনলেই যেন ছোট থেকে বড় সবার জিভে জল চলে আসে। আর পাকা রসালো আম (Mango Ripening) ভালোবাসা না এমন মানুষ কোথায় সারা বিশ্বে নেই।
বাজারে পাকা আম (Mango Ripening) দেখলে কিনতে ইচ্ছা করে সকল মানুষের কিন্তু কখনো খোঁজ নিয়ে দেখেছেন এই আম থেকে কিভাবে পাকানো হয়েছে? বাজারে কিংবা বিভিন্ন ফলের দোকানে আমরা পাকা আম দেখতে পাই। যা দেখা মাত্র কেনার সাধ জাগে সকলের। কিন্তু ব্যবসার খাতিরে এই আম ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো হচ্ছে যার স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। অজান্তে বাজার থেকে এই আম কিনে বিপদে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে চিনবেন কোনটি গাছ পাকা আম (Mango Ripening) এবং কোনটি কার্বাইড দিয়ে পাকানো? আসলে গাছ পাকা আমের বাইটা যেমন হলুদ থাকে ভেতরটাও থাকে তেমনি রং। আর যেসব আম ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো হয় তা বাইরের দিক থেকে হলুদ রঙের দেখতে হলেও ভেতর থেকে হয় পচা। আমরা কি না জেনে নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছি?
যদি কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম (Mango Ripening) আপনারা খান তাহলে আপনাদের স্বাস্থ্যের দিক থেকে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। এইসব বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে জরায়ুর মুখে ক্যান্সার, কোলোন ক্যান্সার এবং পেটের নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও ত্বকের ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট ক্ষতিকর। যেমন কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে ত্বকে র্যাশ ওঠে, লালচে ভাব হয় এবং ব্রণ ও ফুসকুড়িও হতে পারে।
গাছ পাকা এবং কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম সাধারণত আলাদা করা সম্ভব নয়। কিন্তু একটি উপায় আছে যার মাধ্যমে এটি আলাদা করা যেতে পারে। প্রথমে আপনি একটি বড় যার কিংবা বাটির মধ্যে জল নিন এবং তাতে আমগুলোকে ফেলে দিন। যদি আম জলের মধ্যে ডুবে যায় তাহলে মনে করবেন সেটি গাছ পাকা আম। কিন্তু যদি আম জলে ভেসে ওঠে তাহলে বুঝবেন সেটি কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম।