Very soon the whole face of North East Frontier Railway is going to change: ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্যগুলিতে একাধিক রেল প্রকল্পের কাজ চলছে। মূলত ভারতীয় রেল দপ্তরের ক্যাপিটাল কানেক্টিভিটি এবং ভারত সরকারের অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির আওতায় এই প্রকল্পের কাজগুলি চলছে। প্রকল্পগুলির কাজ বেশ জোর কদমেই এগোচ্ছে। অনেকগুলি প্রকল্পের কাজই প্রায় শেষের মুখে। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণরূপে শেষ হলে বদলে যেতে পারে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের (North East Frontier Railway) আগের চেহারা। সম্প্রতি ১৩ই মে থেকে ১৫ ই মে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রকল্পগুলি পর্যবেক্ষণ করেন রেলওয়ে বোর্ডের অন্যতম সদস্য অনিল কুমার খান্ডেলওয়াল।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে চলছে একাধিক প্রকল্পের কাজ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো জিরিবাম ইম্ফল নতুন লাইন, আগরতলা আখাউড়া আন্তর্জাতিক রেল সংযোগ, ভৈরবী সাইরান নতুন রেল লাইন প্রকল্প ইত্যাদি। অনিল কুমার খান্ডেলওয়াল ১৩ ই মে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিলেন ভৈরব সাইরান নতুন রেল লাইন প্রকল্পটির। এই রেল প্রকল্পের মাধ্যমে মিজোরামের সাথে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো স্থিতিশীল হবার আশা রাখছে কর্তৃপক্ষ।
১৩ ই মে পর্যবেক্ষণের পর রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভৈরবী সাইরান রেল প্রকল্পের (North East Frontier Railway) ৯৩% কাজ ইতিমধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ৫১.৩৮ কিলোমিটার রেলওয়ে ট্র্যাক স্থাপন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল মিজোরামে। প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে মোট ৮৭ টি মাইনর ব্রিজ এবং ৫৫ টি মেজর ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পের জন্য তৈরি করা টানেলটির দৈর্ঘ্য ১২৮৫৩ মিটার। সম্পূর্ণ রেলপথে স্টেশন রাখা হয়েছে মোট ৪ টি।
১৪ ই মে পরিদর্শন করা হয়েছে জিরিবাম ইম্ফল নতুন লাইন প্রকল্পটি। এই প্রকল্প মনিপুরকে দেশের অন্যান্য রাজ্যের সাথে স্থায়ী যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে। ১১১ কিলোমিটার লম্বা রেলপথ চালু করতে ১১ টি মেজোর ব্রিজ, ১২৯টি মাইনর ব্রিজ এবং ৫২টি টানেল তৈরি করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মধ্যে আরও একটি আকর্ষণীয় বিষয় রয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ সফলভাবে তৈরি করতে বানানো হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে ব্রিজ স্তম্ভ। স্তম্ভটির উচ্চতা ১৪১ মিটার। এই প্রকল্পেরও ৭৭ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
১৫ ই মে আগরতলা আখাউড়া রেল সংযোগ প্রকল্প (North East Frontier Railway) পরিদর্শন করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউড়া স্টেশনের সাথে ত্রিপুরা নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনটিকে যুক্ত করা হবে। যাত্রীবাহী ও পন্যবাহী ট্রেনের জন্য একটি স্টেশন তৈরি করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। এই প্রকল্প গুলির বাকি কাজ সম্পন্ন হলে উপকৃত হবেন মিজোরাম ও মনিপুর ২ এলাকার লোকই। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের (North East Frontier Railway) সবকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি তো হবেই, তার পাশাপাশি ব্যবসায়িক উন্নতিও হবে চরম পর্যায়ে। রেল পরিষেবা উন্নতির উচ্চ স্তরে পৌঁছে যাবে।