Nandini’s Pais Hotel: ১০০ টাকায় ঢালাও খাবার! এবার মেনুতে ঝড় তুললেন নন্দিনী

Antara Nag

Published on:

Advertisements

A Full Meals are available at Nandini’s Pais Hotel for just 100 rupees: সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অথচ নন্দিনীদির পাইস হোটেলের কথা শোনেনি, এমন লোক পাওয়া খুবই মুশকিল। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল খাবারের দোকান গুলির মধ্যে অন্যতম নন্দিনীদির পাইস হোটেল (Nandini’s Pais Hotel)। সুনামের চেয়ে কন্ট্রোভার্সির জন্যই বেশি ভাইরাল হয়েছেন নন্দিনী। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় ফুটপাতে তিনি একটি ভাতের পাইস হোটেল চালান। সেখান থেকেই রাজ্যবাসীর কাছে তার ব্যাপক পরিচিতি। গ্রাহককে আকর্ষণ করতে প্রায়ই নিত্যনতুন চমক নিয়ে আসেন নন্দিনী। সম্প্রতি এমনই নতুন একটি চমক এনেছেন তিনি তার পাইস হোটেলে।

Advertisements

২ বছর মতো হোলো নন্দিনী ফুটপাতে এই পাইস হোটেলটি চালু করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি তার হোটেলের কারণে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গেছেন। এখন অবশ্য ডালহৌসির দোকান ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি কাউন্টার খুলেছেন নন্দিনী। কিছুদিন আগেই প্রচারে এসেছিল তাঁর বিয়ের খবর। আর বিয়ের কিছু দিনের মধ্যেই নিউটন চত্বরে নতুন একটি হোটেল খোলার খবর প্রচারে আসে। হোটেলটির নাম নন্দিনীর হেঁশেল। কম দামে ভালো খাবার দেবার জন্যই বিখ্যাত নন্দিনী। এইবার তাঁর হোটেলে (Nandini’s Pais Hotel) নতুন চমক হিসেবে প্রকাশ পেল একটি থালি।

Advertisements

নন্দিনী একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রকম পদ সাজিয়ে একটি থালি তৈরি করেছেন তিনি। এই থালিটি মূলত একটি নিরামিষ থালি। থালিতে রয়েছে একাধিক পদ। রাইস আইটেমের মধ্যে রয়েছে ভাত ও পোলাও দুটোই। এছাড়া রয়েছে আলু ভাজা, আলু ভর্তা, বেগুনি, ডাল, তরকারি ও আলুর দম। এই থালিতেও কিন্তু আনলিমিটেড ভাত বা পোলাওয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। নিরামিষ থালিটির দাম ধার্য করা হয়েছে ১০০ টাকা। তবে কেউ যদি এই থালির সাথে আলাদাভাবে মটন কিম্বা চিকেন যুক্ত করতে চান তাহলে সমগ্র থালিটার দাম পড়বে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Vehicle Rules: ১ জুন থেকে গাড়ি চালানোয় আসছে বড় বদল! না মানলে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

কর্মজীবনের শুরুর দিকে নন্দিনী একটি হোটেলে কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর পাশাপাশি তার বাবার নিজস্ব একটি ছোটখাটো হোটেল ছিল। তাঁর বাবার স্বপ্ন ছিল হোটেলটিকে বড় করার। নন্দিনী শুধু তাঁর বাবার স্বপ্নকে বাস্তব করতে চেয়েছেন। নিজের স্থায়ী চাকরি ছেড়ে বাবার হোটেলটাকেই বড় করে তুলতে চেয়েছেন। ডালহৌসের দোকানটি (Nandini’s Pais Hotel) ছাড়াও একই সাথে আরো দুটো দোকান চালাচ্ছে নন্দিনী। একটি দোকান আছে আকাঙ্ক্ষা মোড়ে। সেখানে ঢালাও বিরিয়ানির ব্যবস্থা রেখেছে সে। আরো একটা দোকান রয়েছে ডিএলএফ-২ তে।

নন্দিনী বর্তমানে এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন যে, ডাক পেয়েছেন জোশ টকস থেকেও। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা গেছে তার জীবনের কিছু কাহিনী। সেখান থেকেই জানা গেছে লকডাউনের আগে তিনি গুজরাটে শেফের কাজ করছিলেন। তাঁর বাবা তাঁকে ফোন করে জানায় তাঁর মা খুব অসুস্থ। এই খবর পেয়ে সে ফিরে আসে কলকাতায়। কলকাতায় ফিরে পাইস হোটেলের (Nandini’s Pais Hotel) কাজ শুরু করে নন্দিনী। সে জানায় তার বাবা প্রথম জীবনে যে কাজ করতেন সেই ব্যবসা নষ্ট হয়ে যায় নোট বন্দির কারণে। তারপর লকডাউনের কিছুদিন আগেই তিনি ভাড়া নিয়ে পাইস হোটেলটির কাজ শুরু করেছিলেন। একসময় যিনি তার দুই মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ার বানিয়েছেন, নন্দিনীকে ফ্যাশন ডিজাইনিং এর শিক্ষা দিয়েছেন, তিনি টাকার জন্য লোকের দোকানে কাজও করেছেন। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই নন্দিনীর এই উদ্যোগ।

Advertisements