নিজস্ব প্রতিবেদন : গ্রীষ্ম হোক অথবা বর্ষা বা শীত, পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকত হলো দিঘা (Digha)। বছরের অধিকাংশ সময় দীঘার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকে। দীঘার পাশাপাশি কিছুটা কম হলেও জমজমাট থাকতে দেখা যায় মন্দারমনি সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতকে। আবার দীঘা, মন্দারমনি সহ অন্যান্য সমুদ্র সৈকতে সপ্তাহান্তে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায়।
কিন্তু চলতি সপ্তাহের শেষে দীঘার সমুদ্র সৈকত খাঁ খাঁ করবে। কেননা ২৩ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই দিঘার সমস্ত হোটেলে বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এছাড়াও দীঘার সমস্ত হোটেল (Digha Hotel Booking) খালি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। দীঘার পাশাপাশি মন্দারমনির ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। এর ফলে আপাতত দীঘায় যাওয়া যাবে না পর্যটকদের।
দীঘার সমস্ত হোটেল এইভাবে বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে অনেকেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এবং সেই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার বিষয়টি ভাবতে পারেন। কিন্তু তা নয়। আসলে লোকসভা নির্বাচনের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ২৩ মে থেকে ২৫ মে তিনদিন দীঘার কোন হোটেলে বুকিং নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। ২৬ মে রবিবার থেকে ফের বুকিং শুরু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন ? Sea Beach Near Kolkata: অনেক হলো দীঘা মন্দারমনি! এবার কলকাতার কাছেই ঘুরে আসুন এই সমুদ্র সৈকত
দীঘার যে সকল হোটেল মালিকদের সংগঠন রয়েছে তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রশাসনের তরফ থেকে লিখিতভাবে হোটেল ফাঁকা করা অথবা বুকিং নেওয়ার বিষয়ে কিছু জানানো না হলেও মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। আর সেই মতো তারা বৃহস্পতিবার থেকে হোটেল ফাঁকা করে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন এবং নতুন বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ভরা মরশুমে এইভাবে হোটেল বুকিং বন্ধ হওয়ায় কিছুটা হলেও সমস্যায় পর্যটক থেকে হোটেল মালিকরা।
আগামী ২৫ মে শনিবার রয়েছে ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ঐদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হবে। যে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৫ মে পর্যন্ত হোটেল বুকিং বন্ধ থাকার পর ২৬ মে থেকে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হবে। তবে আবার ২৬ মে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর ফলে ওই দিন দীঘার সমুদ্র সৈকতে যাওয়া কতটা সুরক্ষিত হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, ভোট এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত দিঘার পর্যটন শিল্প স্বাভাবিক হবে না।