নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে গরমের তীব্রতা বাড়তেই পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সরকারের তরফ থেকে আগাম গরমের ছুটি (Summer Vacation) দেওয়া হয়েছে। গত ২২ এপ্রিল থেকে গরমের ছুটি শুরু হয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং বাদে রাজ্যের অন্যান্য সব জেলাতেই এখনো বহাল রয়েছে গরমের ছুটি। কেননা রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হলেও ঠিক কবে স্কুল খুলবে (School Reopen) তা এখনো জানানো হয়নি।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে গরমের ছুটির এখন স্কুল খোলা নিয়ে চারদিকে নানান জল্পনা তৈরি হচ্ছে। প্রথমদিকে কেউ কেউ বলছিলেন ২ জুন থেকে স্কুল খুলবে। কিন্তু ২ জুন তো রবিবার। যে কারণে ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ রাখার পরই অনেকে আবার দাবি করছেন, ৩ জুন থেকেই পুনরায় স্কুলের পঠনপাঠন শুরু হয়ে যাবে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে এইরকম খবরও পাওয়া যাচ্ছে। তবে আবার এসবের মধ্যেই নতুন একটি আপডেট (School Reopen New Update) এলো।
নতুন যে আপডেট এসেছে, সেই আপডেট অনুযায়ী ২ জুন তো নয়ই, এমনকি ৩ জুনও পুনরায় স্কুল খোলা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কেননা রাজ্যের অনেক এলাকার একাধিক স্কুলের সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৩ জুন স্কুল খোলা যাবে না। ৩ জুন স্কুল না খোলার পিছনে যে বড় কারণ সামনে এসেছে তা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেননা দফায় দফায় বিভিন্ন এলাকায় ভোট গ্রহণ শেষ হলেও রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও ৪ জুন ভোট গণনার কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়।
তাহলে সবকিছু পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে কবে থেকে পুনরায় স্কুলের দরজা খুলে যাবে পড়ুয়াদের জন্য? কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে যাবে সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোন দিনক্ষণ জানা যায়নি। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন স্কুল যেগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে তাদের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, শিক্ষা দপ্তর পুনরায় স্কুল খোলার অনুমতি দিলেও কেন্দ্রীয় বাহিনী না যাওয়া পর্যন্ত স্কুল খোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা তাদের উপস্থিতিতে ক্লাস করানো সম্ভব নয়।
যে সকল স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গেছে সেই সকল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী হয়তো ৫ থেকে ৬ জুনের মধ্যে স্কুল ছেড়ে দেবে। এক্ষেত্রে তারা স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পর মোটামুটি ভাবে ৭ অথবা ৮ জুন থেকে পাকাপাকিভাবে পুনরায় স্কুলের পঠন পাঠন স্বাভাবিক করা হবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে। এছাড়াও শিক্ষা দপ্তর এক্সট্রা ক্লাস করানোর জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নির্দেশ দেবে বলেও জানা গিয়েছে।