নিজস্ব প্রতিবেদন : আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডিউল আজ থেকে নাই নাই করে ১৫ দিন আগেই জানিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) তৈরি হতে পারে। আবহাওয়ার সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করেই শনিবার সকাল আটটার সময় বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার বিষয়ে জানায় হাওয়া অফিস। আর এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার আশঙ্কা সুদৃঢ় হতেই নড়েচড়ে বসে নবান্ন (Nabanna)।
শনিবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর রেমাল (Cyclone Remal) নামে ভূখণ্ডে আছড়ে পড়বে। হাওয়া অফিস সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে রবিবার দুপুর বেলা অথবা সন্ধ্যার দিকে ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কোথায় এর ল্যান্ডফল হবে তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট জায়গার খোঁজ মেলেনি। ভারত ও বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় এর ল্যান্ডফল হতে পারে, আবার দিঘার কাছাকাছি কোন জায়গাতেও হতে পারে।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তড়িঘড়ি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে নবান্ন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব রাজিব গৌবা পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন। তিনি দুই রাজ্যের প্রশাসনকেই আশ্বাস দিয়েছেন সমস্ত রকম সহযোগিতা করার। এছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে নবান্নের তরফ থেকে ডাব্লুবিসিএস অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করে কত বৃহস্পতিবারই যেকোনো ধরনের সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ১০৭০ ও (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬। এছাড়াও জেলায় জেলায় নম্বর দেবেন জেলাশাসকরা। এর পাশাপাশি সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধ করা হয়েছে, যারা গেছেন তাদের ফিরে আসার জন্য বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মাইকিং করে পর্যটকদেরও সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে সদা সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি সহ বিভিন্ন দপ্তরকে। এই সকল দপ্তরের কর্মীদের রবিবার ছুটির দিনেও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা কোথাও কোনরকম বিপর্যয় হলেই তড়িঘড়ি বন্দোবস্ত নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা পৌরনিগম তাদের কর্মীদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছে। মোটের উপর প্রশাসনের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় সমস্ত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।