নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। যেভাবে গরম বেড়ে চলেছে তাতে এখন সৌখিন এসি প্রয়োজনীয় জিনিসে পরিণত হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে ইনস্টল হচ্ছে এসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডা করার যন্ত্রপাতি। আর এই সকল যন্ত্রের কারণে যখন বিদ্যুতের ইউনিট বাড়ছে তখন আবার নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জল্পনা তৈরি হলো।
এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা মাসখানেক আগেই বিদ্যুৎ বিলের স্ল্যাব পরিবর্তন করেছে। বিদ্যুৎ বিলের এই স্ল্যাব পরিবর্তন করার ফলে খরচ বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন গ্রাহকরা। যা নিয়ে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, আবার এসবের মধ্যেই সিইএসসি (CESC) তাদের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলের খরচ বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ নিল।
সিইএসসি বিদ্যুতের খরচ বৃদ্ধি করার জন্য ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে একটি আবেদন জমা দিয়েছে। আর যদি সেই আবেদন গ্রহণ হয় তাহলে এবার ইউনিট প্রতি অনেকটাই বেশি টাকা গুনতে হবে সিইএসসি বিদ্যুৎ পরিষেবার (CESC Electric Bill) আওতায় থাকা গ্রাহকদের। এর আগে এই সংস্থার তরফ থেকে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করেছিল। এরপর দীর্ঘ সাত বছর পর আবার বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধি করার আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন ? AC Electric Bill: রিমোটে AC বন্ধ করার পর সুইচ অফ করলেন না! তাতেও কি বাড়ে বিদ্যুৎ বিল!
পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন যদি সিইএসসির আবেদন গ্রহণ করে নেয় তাহলে গ্রাহকদের প্রতি ইউনিটে অন্ততপক্ষে ১.৫০ টাকা করে বেশি খরচ করতে হবে। এই টাকার মধ্যে ১.১০ টাকা জ্বালানির দাম বৃদ্ধি হওয়া বাবদ আদায় না হওয়া অর্থ। সংস্থার তরফ থেকে পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখার জন্য মাশুল বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজন বলেই মনে করছে। কেননা হিসেব অনুযায়ী এই সংস্থার তিন বছরে আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
২০১৯ থেকে ২০২২ ৩ অর্থবর্ষে সংস্থার যথাক্রমে ১১৬১.৭৩ কোটি, ১১২৩ কোটি এবং ১২৪৪.৭২ কোটি টাকা আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ থেকে ২০২৭ পর্যন্ত তিনটি অর্থবর্ষে সুদ সহ যথাক্রমে ১.৬০, ১.৫০ ও ১.৫০ টাকা ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সিইএসসি যে সকল এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান করে থাকে সেই সকল এলাকায় এখন ইউনিট প্রতি ৭ টাকা ৩১ পয়সা করে গ্রাহকদের খরচ করতে হয়। এক্ষেত্রে যদি জল্পনা অনুযায়ী বিদ্যুতের বিল বেড়ে যায় তাহলে ইউনিট প্রতি খরচ করতে হবে অন্ততপক্ষে ৮.৮১ টাকা।