নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বে বহু মূল্যবান যে সকল ধাতু রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো সোনা (Gold)। সোনা সাধারণ মানুষদের কাছে এতটাই আকর্ষণীয় যে দিন দিন এর ব্যবহার এবং দাম বেড়েই চলেছে। আবার সোনা কেবলমাত্র অলংকার হিসাবে ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয় তা নয়, পাশাপাশি যে কোন দেশের আর্থিক স্বচ্ছলতার ক্ষেত্রে সোনার মজুত অনেকটাই নির্ভর করে।
ভারতীয় নাগরিকরা যে পরিমাণ সোনা ব্যবহার করে থাকেন তার বড় অংশ বিদেশের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। এছাড়াও গত কয়েক মাস ধরে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক তার স্বর্ণভাণ্ডার বাড়িয়ে চলেছে। আর এসবের মধ্যেই এবার মন খুশি করা একটি খবর সামনে এলো। বাংলার এক পড়শী রাজ্যে কোটি কোটি টন সোনা মজুতের (Gold Mine) খোঁজ মিলল। কোটি কোটি টন সোনা ওই রাজ্যে মাটির নিচে লুকিয়ে রয়েছে।
গুপ্তধনের মতো এমন কোটি কোটি টন সোনার খোঁজ মিলেছে বাংলার পশ্চিম রাজ্য বিহারের মাটির নিচে। ওই রাজ্যে এতটাই সোনার খোঁজ মিলেছে যেন ধূলিকণার মধ্যেও মিশে রয়েছে সোনা। আর এই বিপুল সোনা মাটির নিচ থেকে তোলার জন্য খুব তাড়াতাড়ি খনন কার্য শুরু করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে সূত্র মারফৎ। ভারত এক সময় সোনার পাখি হিসাবে পরিচিত থাকা দেশের বিহারে এমন বিপুল পরিমাণ স্বর্ণভান্ডারের খোঁজ রীতিমতো ঐ রাজ্যের ভাগ্য খুলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন ? Coal Mine in WB: ফের কপাল খুলল বাংলার, রাজ্যের এই জায়গায় চালু হচ্ছে নতুন দুটি কয়লা খনি
ভূতাত্বিক সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, বিহারের জামুই জেলার করমাটিয়া, ঝাঁঝা এবং শোন এলাকায় এমন বিপুল পরিমাণ স্বর্ণভাণ্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যে পরিমাণ স্বর্ণ ভান্ডারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে, দেশের সোনা রিজার্ভের প্রায় ৪৪ শতাংশ সোনাই এখানে রয়েছে। এমনিতেও সোনা মজুতের দিক দিয়ে দেশের প্রথম রাজ্য হল বিহার আর এই বিহারেই এবার জামুই এলাকায় দেশের বৃহত্তম স্বর্ণভান্ডারের খোঁজ মিলল।
জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, জামুই জেলায় প্রায় ২২.২৮ কোটি টন সোনা মজুত রয়েছে। শুধু জামুই নয়, পাশাপাশি জামুইয়ের পাশে থাকা জেলা বাঁকার কাতোরিয়া এলাকাতেও প্রচুর পরিমাণে সোনার খোঁজ মিলেছে। অন্যদিকে এই বিপুল পরিমাণ সোনা মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করার জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। পুরাতন পদ্ধতির পরিবর্তে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে সোনা উত্তোলনের খরচ অনেকটাই কমে যাবে।