নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি কর্মচারীরা (Government Employees) বেতন ছাড়াও তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই সকল সুযোগ সুবিধার মধ্যে এখন সবচেয়ে আলোচনার যে বিষয়টি হলো ডিএ। তবে ডিএ ছাড়াও আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে যেমন এইচআরএ, সন্তানদের পড়াশোনার জন্য খরচ থেকে শুরু করে আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাতা।
সরকারি কর্মচারীরা এই সকল ভাতা নিজেদের প্রাপ্য দাবি বলেই মনে করেন এবং সেই মতো কোনো ক্ষেত্রে এই সকল ভাতা নিয়ে সরকারের গাছাড়া মনোভাব দেখা দিলেই বিক্ষোভ আন্দোলনে নামতে দেখা যায়। এই সকল ভাতা এবং সুযোগ সুবিধা ছাড়াও সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের কর্মজীবনে পদোন্নতিকেও প্রাপ্য এবং সাংবিধানিক অধিকার মনে করেন।
অন্ততপক্ষে এতদিন কর্মজীবনে নিজেদের পদোন্নতিকে সরকারি কর্মচারীদের একাংশকে সাংবিধানিক অধিকার বলে মনে করেই বিভিন্ন মামলা থেকে শুরু করে আন্দোলন বিক্ষোভ করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার আর পদোন্নতিকে সরকারি কর্মচারীরা নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার বলতে পারবেন না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই এখন পদোন্নতির দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের মাথায় হাত পড়তে শুরু করেছে।
সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি কি সাংবিধানিক অধিকার? এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, সংবিধানে এমনটা নির্দিষ্টভাবে কোথাও উল্লেখ নেই। যে কারণে এই বিষয়ে আইন প্রণেতারা এবং আমলারা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। উচ্চপদে নিজেদের প্রয়োজনমতো নিয়োগ করা যেতে পারে অথবা পদোন্নতি করা যেতে পারে। যদিও সংবিধানের ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পদোন্নতি সংক্রান্ত কোনো মামলা এলে শীর্ষ আদালত তা খতিয়ে দেখতে পারে।
এর পাশাপাশি আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কোন কর্মচারীর পদোন্নতি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বহু ক্ষেত্রেই নিজেদের পদোন্নতি নিয়ে সিনিয়রিটির ওপর ভিত্তি করে সরকারি কর্মচারীরা দাবি-দাওয়া তুলে থাকেন। কিন্তু আদালত এই বিষয়েও জানিয়েছে, সিনিয়ারিটি পদোন্নতির আসল কারণ হতে পারে না। এক্ষেত্রে মেধার বিষয়টিও দেখা হয়।