Indian Railways has the latest technology to run trains on time: ভারতীয় পরিবহন ব্যবস্থার মূল ভিত রয়েছে রেল পরিষেবার উপর ভিত্তি করে। সাধারণ মানুষ শুধুমাত্র যাতায়াতের জন্য নয়, রীতিমতো রুজি-রোজগারের জন্য ব্যবহার করে থাকেন এই পরিষেবাকে। প্রতি নিয়ত লক্ষাধিক মানুষ রেল পরিষেবাকে ব্যবহার করে থাকেন এই পরিষেবাটি। যেমন নিত্যদিনের প্রয়োজনে এই পরিষেবাটি ব্যবহার করা হয়, তেমনই এই পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের কোন শেষ নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে।
রেল পরিষেবা কে আরো উন্নত করতে প্রতি নিয়ত নিত্য নতুন প্রযুক্তি (Latest Technology of Railways) নিয়ে এসেছে সরকার। তারপরও রেল পরিষেবা নিয়ে সব থেকে বেশি অভিযোগ রয়েছে রেলের সময় নিয়ে। দূরপাল্লার ট্রেন গুলি কিছু ক্ষেত্রে দেড় থেকে দু ঘন্টা লেট করে থাকে ছাড়ার সময়ের উপর। ফলে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছাতেও দেরি করে। দূরপাল্লার ট্রেন ছাড়াও প্রতিদিন ব্যবহারিত লোকাল ট্রেন গুলিও একই সমস্যায় ভুগছে। কোন না কোন ট্রেন প্রতিদিন লেট করছে যার ফলে যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে।
ভারতীয় রেল পরিষেবা জল সরবরাহ ব্যবস্থাটি আরো অনেক দ্রুততার সাথে করতে চাইছে। কোনরকম সময় অপচয় না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজটি করার চেষ্টা করছে রেল কর্তৃপক্ষ। জল ভরা এই বিষয়টির জন্য, বিশেষ করে দূরপাল্লার ট্রেন গুলির ক্ষেত্রে বেশি সময় নষ্ট করতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। জল ভরার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি দ্রুততার সাথে করার জন্য খুব শীঘ্রই নতুন প্রকল্প (Latest Technology of Railways) নিয়ে আসতে চলছে ভারতীয় রেল পরিষেবা।
এখনো পর্যন্ত মোট ১২ টি স্টেশনে দ্রুত জল ভরার প্রকল্প তৈরি করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো পূর্ব রেলের আওতায় থাকা দিন দয়াল উপাধ্যায় জংশন। পাশাপাশি আরও ১২ টি স্টেশনে এই প্রযুক্তি (Latest Technology of Railways) তৈরি করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত জল সরবরাহ প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রেল পরিষেবার ক্ষেত্রে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি আপনাকে অবাক করবে। কোন স্টেশনে যদি ট্রেনটি ১০ মিনিটের জন্য দাঁড়ায় তাহলে দ্রুততার সাথে ট্রেনের কোচে জল ভরতে শুরু করবে।
দ্রুত জল ভরার প্রকল্পটি শুধুমাত্র সময় বাঁচাচ্ছে না, দ্রুততার সাথে জলে ভরে দিচ্ছে ট্রেনে। সময়ও বাঁচছে, জলের অপচয়ও বন্ধ করা গেছে। পাশাপাশি ট্রেন ডিলে হওয়ার সমস্যা মিটেছে। কমেছে যাত্রীদের ভোগান্তি। তথ্যসূত্রে জানা গেছে, ২৪ কোচের একটি ট্রেন সম্পূর্ণ জলে ভর্তি হতে সময় লাগে ৮ মিনিট। রেলের এই নতুন প্রযুক্তির (Latest Technology of Railways) কাজ সম্পন্ন হলে তা কতটা কার্যকরী হবে সেই দিকেই নজর বিশেষজ্ঞদের।