Agnikul Cosmos successfully launched Agnibaan-SOrTed using indigenous technology: বৃহস্পতিবার ভারতীয় মহাকাশ মিশনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। সফল হয়েছে দীর্ঘদিনের ব্যর্থ হওয়া রকেট উৎক্ষেপণ। অগ্নিকুল কসমসের দ্বারা সফল এই অভিযানে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন ইসরো তরফে। কি এই অগ্নিবান মিশন (Agnibaan-SOrTed)? চলুন জেনে নিন এই রকেট সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য।
অগ্নিবান হল ভারতীয় বেসরকারি সংস্থা অগ্নিকুল কসমস দ্বারা নির্মিত একটি মহাকাশ যান (Agnibaan-SOrTed)। যা এই সংস্থার তৈরির প্রথম রকেট। যে মহাকাশ যান ৭০০ কিলোমিটার কক্ষপথে বহন করতে পারে প্রায় ৩০০ কেজি লোড। সংস্থা তরফে ৪বার এই রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়। তবে গত বৃহস্পতিবার স্টার্টআপ সংস্থা অগ্নিকুল কসমসের দ্বারা সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছে অগ্নিবান রকেট। কোথা থেকে উৎক্ষেপণ সফল হল এই অগ্নিবান রকেটের?
সূত্রের খবর, এই রকেট উৎক্ষেপণের কথা ছিল ৭ই এপ্রিল SOrTed অভিযানের আওতায়। কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৩০শে মে মহাকাশ স্টার্টআপ সংস্থা অগ্নিকুল কসমসের স্ব-নির্মিত ৩-ডি প্রিন্টেড সেমি ক্রায়োজেনিক অগ্নিপথ উৎক্ষেপণ হয়েছে শ্রীহরিকোটা লঞ্চ প্যাড থেকে। যা ইসরোর সতীশ ধাওয়ান স্পেশ সেন্টারে অবস্থিত। মাত্র দু মিনিটে উৎক্ষেপনের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিছু সংখ্যক লোক।
আরও পড়ুন ? Indian vs Chinese Army: সবার সামনে ল্যাজেগোবরে অবস্থা চীনের! লাল ফৌজকে হেলায় হারালো ভারতীয় সেনারা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি ভারতের এমন একটি মহাকাশ যান (Agnibaan-SOrTed) যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নতমানের প্রযুক্তি। এই ৩-ডি প্রিন্টেড রকেটে রয়েছে তরল ও গ্যাস প্রোপেলেন্টের মিশ্রণ। সাথে ব্যবহার করা হয়েছে সেমি ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। যা ইসরোর তৈরি কোনো রকেটেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়নি। পাশাপাশি এই রকেট চালানোর জ্বালানি খরচও রয়েছে কম। ফলেই ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানে এই ইঞ্জিনের ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে অর্থ যেমন সাশ্রয় হবে তেমন সুবিধাও পাওয়া যাবে।
অগ্নিকুল কসমসের দ্বারা এই রকেট অভিযান সফল হওয়ায় ইসরো তরফে অভিনন্দন জানানো হয়েছে সংস্থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন, অগ্নিকুল কসমসকে অসংখ্য ধন্যবাদ। লঞ্চ প্যাড থেকে অগ্নিবান SORTed-01 মিশন সফলভাবে উৎক্ষেপণ করার জন্য। SOrTed অভিযানের আওতায় উৎক্ষেপণ সফল হওয়া একটি বড় প্রাপ্তি। পাশাপাশি এও বলেছেন যে, মহাকাশ অভিযানে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার জোর দেওয়া অত্যন্ত কার্যকর। যা এই রকেট অভিযানের প্রমাণ। অপরদিকে, IN-SPACE-এর চেয়ারম্যান পবন গোয়েঙ্কা টুইটারে জানিয়েছেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার জন্য এই সফলতা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। যা আমাদের দেশের তরুণ প্রতিভাবানদের প্রতিভা প্রতিফলিত করে। তবে ভারতের এই অগ্নিবান সফলে ক্ষোভে ফুঁসছে চীন-পাকিস্তান।