EMI Rate: কমতে পারে EMI খরচ, খুব তাড়াতাড়ি খুশির খবর দিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক RBI

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বহু নাগরিক রয়েছেন যারা বাড়িঘর তৈরি করা থেকে শুরু করে গাড়ি কেনা সহ বিভিন্ন কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। এই সকল গ্রাহকরা সবসময় চান যাতে করে তাদের নেওয়া ঋণের উপর সুদের পরিমাণ কম হয় অর্থাৎ মাসে মাসে ইএমআই-এর (EMI Rate) পিছনে খরচ কম করতে হয়। এবার হয়তো এই বিষয়েই খুশির খবর পেতে পারেন ঋণগ্রহীতারা।

Advertisements

গতকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুদ্রানীতির বৈঠক। এই বৈঠক শেষেই আশা করা হচ্ছে লোনের উপর সুদের পরিমাণ অর্থাৎ ইএমআই কমতে পারে, কেননা রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেটে বদল আনলেও আনতে পারে। তবে দেখার বিষয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, নাকি গত দেড় বছর ধরে যা চলছে সেটাই চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

Advertisements

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া রেপো রেট কমাতে পারে এমনটাই আশা যোগাচ্ছে দেশের কোটি কোটি ঋণগ্রহীতাদের। এর পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে আর সেই সকল কারণের মধ্যে অন্যতম হলো মে মাসে মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান অনেক কম ছিল। এর পাশাপাশি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো রেট কমানোর ঘোষণা করেছে। এর ফলে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াও রেপো রেট কমাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Home loan: ৩০ লক্ষ টাকা হোম লোন নিলে ১৫ বছরে কত করে EMI নেবে ICICI! রইল হিসেব-নিকেশ

এর আগে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেপো রেট বদল এনেছিল। সেই সময় মুদ্রাস্ফীতিতে লাগাম টানার জন্য রেপো রেট ০.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে আর রেপো রেটের ক্ষেত্রে কোন বদল আনা হয়নি। দীর্ঘ দেড় বছরের কাছাকাছি সময় ধরে একই রকম রেপো রেট রাখা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। আর এর ফলেই দীর্ঘ দেড় বছর সময় ধরে ৬.৫০ রেপো রেট চলছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইসিবি ০.৬০ শতাংশ সুদের হার কমাতে পারে। অন্যদিকে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকও মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ০.২৫ শতাংশ সুদের হার কমানোর পথে হাঁটতে পারে। আর এই সকল বিদেশি দেশগুলির দিকে তাকিয়ে আশা রাখা হচ্ছে এবারের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুদ্রানীতির বৈঠক শেষে রেপো রেট কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর যদি তা সত্যিই বাস্তবায়িত হয় তাহলে অনেকটাই খরচ কমে যাবে ঋণগ্রহীতাদের।

Advertisements