নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের মতোই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল ব্যাপকভাবে প্রত্যাবর্তন করেছে। ২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে যেমন তৃণমূলের গেল গেল রব উঠেও সিট সংখ্যা বেড়েছিল, ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও। এবারও তৃণমূল আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং ২০১৯ এ হাতছাড়া করা ছয়টি লোকসভা ফের নিজেদের ঘরে ফিরিয়ে এনেছে।
২০২১ এবং ২০২৪ পরপর দুটি বড় নির্বাচনে তৃণমূলের এমন জয়ের পিছনে রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা থেকে শুরু করে রাজ্যের বাসিন্দারা যার সবচেয়ে বড় হাত রয়েছে বলে মনে করছেন সেটি হল সরকারি প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar)। কেননা এই প্রকল্পই ২০২১ সালে তৃণমূলের প্রত্যাবর্তনের পর চালু হয়েছিল আর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পে টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ এবং সাধারণ নাগরিকরা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পকে তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের কারণ হিসাবে তুলে ধরার পাশাপাশি এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুরু হয়েছে গণেশ ভান্ডারের (Ganesh Bhandar) দাবি। লক্ষ্মীর ভান্ডার যেখানে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রতি মাসে হাত খরচ দেওয়া হয়, সেই জায়গায় রাজ্যের পুরুষরা কেন বঞ্চিত থাকবেন তা নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে নানান সাওয়াল। আর এই নিয়েই চলছে জল্পনা।
আরও পড়ুন ? Lakshmir Bhandar Payment Status: জুন মাসের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার আপডেট! এইভাবে বুঝে নিন এলো কিনা
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই দাবি করেছেন, ‘আমরা (পুরুষরা) কি দোষ করলাম। আমাদের জন্যও দিদি কিছু ভান্ডার চালু করুন।’ এমনকি অনেকেই দাবি করছেন, যদি লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো পুরুষদের জন্যও কিছু একটা প্রকল্প চালু হয় তাহলে পরের লোকসভায় ৪২ এ ৪২ আর বিধানসভায় ২৯৪ এ ২৯৪ হয়ে যাবে। তবে এই সকল দাবি-দাওয়া এখন কেবলমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কেননা এই বিষয়টি নিয়ে এখন সরকারের তরফ থেকে বা তৃণমূলের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও অনেকেই মনে করছেন, আগামী দিনে যে রাজ্য সরকার এই ধরনের কোন প্রকল্প আনবে না তাও কেউ নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেন না।
অন্যদিকে আবার সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে যে নানান মিম তৈরি হচ্ছে। এই মিম কোন অবস্থাতেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না শাসকদলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি অনেকেই। সম্প্রতি এই নিয়ে পরমের স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী মুখ খুলেছেন এবং তিনি ধরনের মিমের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে মিমের প্রসঙ্গ বাদ দিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে গণেশ ভাণ্ডারের দাবি উঠছে তা নিয়ে রাজ্য সরকার আগামী দিনে কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।