Eligibility criteria to be passed to become the Prime Minister of India: গত কয়েক মাস ধরে লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে চলেছে নানা ধরনের মিটিং মিছিল। ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে কোমর বেঁধে কাজ করেছে নিজ নিজ দল। গত ৪ই জুন প্রকাশ পেয়েছে তার ফলাফল। যেখানে ২০১৪, ২০১৯-এর মতো ২০২৪ সালে তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিজেপির একক দলে নয়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট NDA-এর অধীনে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মোদিজি। NDA জোট আসন সংগ্রহ করেছেন প্রায় ২৯৩টি। তবে এই লোকসভা নির্বাচনে জিতলেই যে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায় তা নয়। এর পাশাপাশি থাকতে হয় বেশ কিছু প্রয়োজনীয় যোগ্যতা (Prime Minister Eligibility)। জেনে নিন কোন কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়।
নাগরিক
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মানদণ্ড হলো নাগরিকত্ব (Prime Minister Eligibility)। দেশের নাগরিক না হলে সেই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হতে পারবে না। তাই অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে ব্যক্তিকে ভারতবর্ষের নাগরিক হতে হবে।
সদস্য
রাজ্য অথবা কেন্দ্র যেকোনো সভার সদস্য হতে হয় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে। অর্থাৎ যে ব্যক্তিরা রাজ্যসভা অথবা কেন্দ্রসভার সদস্য হন তাদের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছাই করা হয়।
বয়স
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য বয়সের মাপকাঠি রয়েছে। একটি নির্দিষ্ট বয়স না হলে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লোকসভার সদস্য হলে বয়স হতে হয় ২৫-এর উর্ধ্বে এবং রাজ্যের সদস্য হলে বয়স হতে হয় ৩০-এর উর্ধ্বে।
মামলা
কোনো সরকারি জায়গায় লাল কালির দাগ থাকলে সেই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে গেলে লোকসভা অথবা রাজ্যসভার সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা থাকবে না।
সরকারি কর্মচারী
প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে গেলে ব্যক্তিকে রাজ্য বা কেন্দ্রের কোনো সরকারি কর্মচারী হলে চলবে না। যদি কোনো ব্যক্তি সরকারিভাবে সরকারি কোনো কর্মে রত থাকেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী আসন গ্রহণ করার পর সেই কাজ তাকে ত্যাগ করতে হয়।
শপথ গ্রহণ
জনগণের দ্বারা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আসন গ্রহণের পূর্বে ভারতীয় সংবিধানে তৃতীয় তফসিল আইন অনুসারে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনের শপথ গ্রহণ করতে হয় সেই ব্যক্তিকে। উপরে উল্লেখিত এই যোগ্যতা থাকলে তবেই প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হওয়ার ক্ষমতা রাখতে পারেন ব্যক্তিরা।
প্রসঙ্গত, দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব থাকে প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister Eligibility) ওপর। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গেলে অবশ্যই অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। অপরদিকে আবার প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ নির্ভর করে রাষ্ট্রপতির উপর। তবে নিয়ম থাকলেও দল বা মোর্চার নেতাকেই নিয়োগ করতে হয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সেখানে রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা থাকে না। তবে দল বা মোর্চার নেতা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন তখন রাষ্ট্রপতি তার মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল হয় পাঁচ বছর। তবে মেয়াদের পূর্বে দল ভাঙলে কমে যায় কার্যকালের মেয়াদ।