The central government Hikes the gratuity limit for its employees: সরকারি কর্মীদের কাছে ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স একটি অন্যতম আলোচনার বিষয়। একদিকে যেখানে রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা ডিয়ে বৃদ্ধির আবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করছে সরকারের বিরুদ্ধে, অন্যদিকে কেন্দ্র সরকার বাড়িয়েই চলেছে তাদের কর্মীদের ডিয়ের পরিমাণ। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ডিয়ারনেস এলাউন্সের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৪ শতাংশ। তবে শুধু ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স নয়, বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য একাধিক ভাতার পরিমাণও। সম্প্রতি বাড়ানো হলো কর্মীদের গ্র্যাচুইটির পরিমাণ (Gratuity Limit Hikes)।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য ডিয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ৪ শতাংশ। আগে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ডিয়ে দেওয়া হতো ৪৬ শতাংশ। বর্তমানে সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫০%। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকটি ভাতার জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণও। চাইল্ড কেয়ার স্পেশাল অ্যালাউন্স, চিলড্রেন এডুকেশন অ্যালাউন্স, নাইট ডিউটি, ওভারটাইম, রিক্স অ্যালাউন্স এবং সংসদীয় অ্যাসিস্টদের জন্য প্রযোজ্য বিশেষ ভাতা সহ মোট ৬ টি ভাতার পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার গ্র্যাচুইটি (Gratuity Limit Hikes) বাড়ানোর ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
৩০ শে মে ২০২৪ এ একটি মেমোরেন্ডাম প্রকাশ করা হয়েছে মিনিস্ট্রি অফ লেবার এন্ড এমপ্লয়মেন্ট দপ্তরের তরফ থেকে। সেখান থেকেই জানা গেছে, কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটির (Gratuity Limit Hikes) লেভেল ১ ধাক্কায় বাড়তে চলেছে ২৫ শতাংশ। এই বর্ধিত গ্র্যাচুইটি প্রযোজ্য হবে সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস এবং সিবিস সার্ভিসের আয়োতাধীন কর্মচারীদের জন্য্। ২০২৪ লোকসভার সপ্তম দফা ভোটের ঠিক ২ দিন আগে এমনই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ঘোষণার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা যতটা খুশি হয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন ? India vs China: মোদির আসন কমতেই আনন্দে লাফাচ্ছে চীন! চোখের সামনে বড় বড় স্বপ্ন ভাসছে বেজিংয়ের
ডিয়ে বৃদ্ধির কারণে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা প্রথম থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিল সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু এখন তাদের ক্ষোভের কারণ শুধুমাত্র বর্ধিত ডিয়ে অথবা গ্র্যাচুইটির পরিমাণ (Gratuity Limit Hikes) নয়, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা অতিরিক্ত যে সমস্ত ভাতা পেয়ে থাকেন সেইগুলোর পরিমাণ বৃদ্ধি করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। রীতিমতো কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করেছেন রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
রাজ্যের কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজ্যকে বঞ্চনা করা হচ্ছে সপ্তম পে কমিশন গঠনের সময় থেকেই। তখনই গ্র্যাচুইটির পরিমান কেন্দ্রীয় সরকারের জন্য ২০ লক্ষ্য টাকা এবং রাজ্য সরকারের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ধার্য করা হয়েছিল। শুরু থেকেই দুটি আলাদা সরকারের অধীনস্থ কর্মচারীদের মধ্যে গ্র্যাচুইটির দিক থেকে ১৮ লক্ষ টাকার ফারাক তৈরি করা হয়েছিল। এই পার্থক্য তো রাজ্যের কর্মীদের বঞ্চিত করারই নমুনা। রাজ্যশিক্ষা সমিতীর সাধারণ সম্পাদক বলেন, এমনিতেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা কর্মীদের মধ্যে ডিয়ের পরিমাণে ব্যবধান রয়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ। এখন গ্র্যাচুইটির পরিমাণ বৃদ্ধির (Gratuity Limit Hikes) ফলে এই ব্যবধান আরো বেড়ে গেল। গণতান্ত্রিক উপায়ে এই বিভেদ মেটানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত কেন্দ্রের।