Eastern Railway gave mega-update about the Bishnupur Tarakeswar Railway Line: বর্তমানে দেশের রেল ব্যবস্থা দিনকে দিন আরো উন্নত হয়ে উঠছে। যাত্রীদের নানাবিধ সুবিধা প্রদান করার জন্য ভারতীয় রেল সবরকম দিক থেকে প্রচেষ্টা করছে। দেশের অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থাগুলোর মধ্য থেকে ভারতীয় রেল হল একটি অন্যতম এবং উন্নতমানের পরিবহন ব্যবস্থা। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই এই রেলব্যবস্থার বিভিন্ন রকম পরিষেবা উপভোগ করতে পারে। দেশের পর্যটন ব্যবস্থাকে উন্নত করতেও ভারতীয় রেল যথেষ্ট কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের সংস্কৃতিকে আরও বেশি উন্নত করে সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য ভারতীয় রেলের কার্যকলাপের অন্যতম উদাহরণ হল তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেলপ্রকল্প (Bishnupur Tarakeswar Railway Line)।
ভারতীয় রেলের সর্বশেষ আপডেট থেকে জানা যায় যে, বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর (Bishnupur Tarakeswar Railway Line) রেল প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বড় ধরনের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই রেল প্রকল্পটি এখানকার অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির নয়া দিকের সূচনা করে। ইতিমধ্যেই গোঘাট ও ময়নাপুরের মধ্যে রেললাইনের সংযোগের কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। পাশাপাশি বড় গোপীনাথপুর-ময়নাপুর লাইনের নির্মাণ কাজ ৯০% সম্পন্ন হয়েছে, এবং বড় গোপীনাথপুরে রেলওয়ে ট্র্যাক ও স্টেশন বিল্ডিং স্থাপনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন। পর্যটন ব্যবস্থাকে উন্নত করা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হল এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর বিখ্যাত পোড়ামাটির মন্দিরের জন্য এবং এই প্রকল্পের (Bishnupur Tarakeswar Railway Line) দ্বারা এই বিষ্ণুপুরের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চলেছে হুগলির অন্যতম জনপ্রিয় শৈবক্ষেত্র তারকেশ্বর। আশা করা হচ্ছে যে, বড় গোপীনাথপুর এবং জয়রামবাটির মধ্যে ৭.৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেললাইনের প্রসারণের কাজ খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে জয়রামবাটিতে স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া আশা রাখা হচ্ছে যে খুব শীঘ্রই হয়তো বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত পুরো সংযোজনের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
বিষ্ণুপুর-তারকেশ্বর (Bishnupur Tarakeswar Railway Line) প্রকল্পের অধীনে যেসব বড় এবং ছোট সেতুর নির্মাণ করা হবে তাও প্রায় শেষের দিকে। এই প্রকল্পের অধীনে থাকবে মোট ৩৩ টি সেতু, যার মধ্যে ৩১টি ছোট সেতু এবং সীমিত উচ্চতার সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে ৩টি বড় সেতু নির্মাণের জন্য সাবস্ট্রাকচার এবং গার্ডার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য ভিত্তি নির্মাণ করা হয়েছে, এবং সিগন্যালিং ক্যাবল (ওএফসি) বসানোর কাজও শুরু হতে চলেছে।
এই প্রকল্পের অধীনে ভবাদিঘির ওপর দিয়ে প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণের কাজ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে। এই জট ছাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি এই প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়ে যায় তাহলে তীর্থযাত্রীদের জন্য সবথেকে ভালো খবর আসতে চলেছে। তীর্থযাত্রীরা খুব কম খরচে এবং কম সময়ের মধ্যে তারকেশ্বর, কামারপুকুর, জয়রামবাটি ও বিষ্ণুপুরের মদনমোহনকে দর্শন করতে পারবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অর্থনীতি ও পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটবে। এই প্রকল্পটির সম্পন্ন হলে এই রুটের ট্রেন পরিষেবা চালু হবে। যার ফলে এখানকার জনগণের জীবনমান উন্নত হবে এবং সময় ও খরচ দুটোই বাঁচবে।