Govt Jobs: রাতের ঘুম উড়ল চাকরিপ্রার্থীদের! আপাতত বন্ধ চাকরির নিয়োগ, আবার কবে শুরু হবে নিয়োগ

Antara Nag

Published on:

Advertisements

Recruitment of all types of Govt Jobs in West Bengal has been stopped indefinitely: একটা সময় ছিল যখন বছর বছর চাকরি পরীক্ষা হতো এবং উচ্চ মাধ্যমিকের পর থেকেই ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ছাত্র-ছাত্রীই সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করতো। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বর্তমানে চাকরির পরীক্ষা ডুমুরের ফুল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা রীতিমতো হু হু করে বেরেই চলেছে। অপরদিকে সরকারি চাকরির (Govt Jobs) সুযোগ কোথায়? এমনকি চাকরির পরীক্ষাও বা কোথায়?

Advertisements

বছর বছর রাজনৈতিক দলের তর্জা উচাচ পর্যায়ে চলছে। প্রতিটি দলই যখন ক্ষমতায় আসছে নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী কতটা বাস্তব জীবনে কাজ হচ্ছে সেটা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমজনতা। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণদের প্রতি কর্তব্য সারলেও চাকরির ক্ষেত্রে ঘটে রয়েছে এক বিরাট গোলযোগ। একে সরকারি চাকরিতে দুর্নীতির ভার বেশি, অপরদিকে চাকরির পরীক্ষায় টান পড়ছে। যারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের কথা ভাবলে গা শিউরে উঠছে।

Advertisements

এমতাবস্থায় রাজ্য সরকার ঘোষণা করলেন আর কোন সরকারি চাকরির (Govt Jobs) পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই কথা শুনে মাথায় হাত পড়েছে অসংখ্য পরীক্ষার্থীর। ডব্লিউবিসিএস থেকে শুরু করে অন্যান্য যে কোন সরকারি চাকরির বিভাগেই কোন প্রকার পরীক্ষা সামনে নেওয়া হবে না। তার প্রধান কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে যে ২০১০ থেকে যে সমস্ত জনগণ ওবিসি সার্টিফিকেট পেয়েছেন তাদের সেই সার্টিফিকেট পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট এভাবে বাতিল হয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? IAS Jagriti Awasthi: সুখের সরকারী চাকরি পেয়েও জোরকদমে পড়াশুনা, IAS হওয়ার দৌঁড়ে শত বাঁধা থামাতে পারেনি জাগৃতিকে

হাইকোর্টের এই নির্দেশে রেগে আগুন হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কারণ হাইকোর্টের ঘোষণা অনুযায়ী ২০১০ সালের পর থেকে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল, তা একপ্রকার আইন বিরুদ্ধ। সেই জন্য সেই ওবিসি সার্টিফিকেটের কোনরূপ ভেলিডিটি থাকবে না। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নির্দেশের বিরুদ্ধে যান। তিনি হাইকোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে নালিশ জানান এবং তখনই ঘোষণা করেন যে ভোটের পর তিনি এই বিষয়ে তৎপর হয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে যাবেন।

যদি সুপ্রিম কোর্ট সততার সাথে রায় না দেন তবে ততদিন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই চালিয়ে যাবেন। যতদিন অব্দি কোন সঠিক ব্যবস্থাপনা করা হবে ততদিন পর্যন্ত রাজ্যে সরকারি চাকরির পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। যদিও এতে বহু ছাত্র-ছাত্রী চরম অসুবিধার মুখে পড়তে চলেছে।

Advertisements