Airborne Electromagnetic Survey: উত্তর-পূর্ব রেল নিয়ে ভারতীয় রেলের নয়া পরিকল্পনা! পরিষেবার উন্নয়নে এবার চলবে একটি কাজ

Antara Nag

Published on:

Advertisements

Service development through Airborne Electromagnetic Survey is underway on the North Eastern Railway: ভারতবর্ষের লাইফ লাইন বলা হয় রেল পরিবহনকে। প্রতিদিন এই রেল পরিষেবার ওপর ভরসা করে থাকে কত যাত্রী। কারণ রেল জার্নি যেমন আরামদায়ক তেমনি সাশ্রয়ী মূল্যের। তাই যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিনিয়তই ভারতীয় রেল স্টেশনসহ রেলপথ, ট্রেন সমস্ত কিছুরই উন্নয়ন করে চলেছে। তেমনি পরিষেবার উন্নয়নে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিয়ে নয়া পরিকল্পনা করল ভারতীয় রেল। প্রস্তুতি নিল পরিষেবা উন্নয়নমূলক একটি সার্ভের। কি সেই সার্ভের নাম? এই সার্ভের মাধ্যমে কি পরীক্ষায় বা করা হবে?

Advertisements

প্রসঙ্গত রেলওয়ে সার্ভে প্রকল্পে রেলওয়ের বিভিন্ন বিষয়ের রক্ষণাবেক্ষণ, নির্মাণ কার্য, ডিজাইন, সার্ভের পরিকল্পনা সমস্ত ক্রিয়া-কলাপের একটি বিরাট ব্যপ্তির অন্তর্ভুক্তিকরণ রয়েছে। যার ফলে রেলওয়ে পরিবহন ব্যবস্থার নানা রকম কার্যকলাপ ভালোভাবে এবং সঠিকভাবে বিশ্লেষণ সহ সম্পন্ন হয়। তেমনি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিয়ে এক বিশেষ সার্ভের (Airborne Electromagnetic Survey) আয়োজন করেছে ভারতীয় রেল।

Advertisements

ভারতীয় রেল উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বেশ কয়েকটি সেকশনে যে বিশেষ সার্ভে চালাবে সেই সার্ভের নাম এয়ারবোর্ন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক লিডার সার্ভে। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে এই সার্ভের টেন্ডার। পাশাপাশি এই সার্ভের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নয়ডা ভিত্তিক মেসার্স গারুদাইউএভি সফ্ট সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাকে। এছাড়াও এই বিশেষ কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করা হবে অপ্টিক্যাল ফটোগ্রামেট্রি, ইনফ্রারেড ম্যাপিং ও গ্রাউন্ড পেনেট্রেটিং রাডার ও এয়ারবোর্ন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক (Airborne Electromagnetic Survey)।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Indian Railways Rules: ট্রেনের কামরায় চিপস, বিস্কুটের প্যাকেট ফিরলেই বিপত্তি! শাস্তি বাড়িয়ে দিল রেল

খবর রয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেমের দ্বারা এয়ারবোর্ন গ্রাউন্ড সারফেস সার্ভে এবং সাব সারফেস ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সার্ভের প্রস্তুতিকরণ করা হবে। যে সার্ভে পর্যালোচনা করা হবে লামডিং-বদরপুর সেকশনের ৪৫ কিমি থেকে ১২৫ কিমির মধ্যে। যে সার্ভের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হবে মাটির স্তরবিভাগ, স্তরে নিম্নে জমে থাকা জল, স্লপের স্থায়িত্ব, স্লিপ সার্কেল গঠন ও হিল টোর স্থায়িত্ব এবং পাহাড়ি অবস্থা পরিবর্তনে প্রাকৃতিক গঠনগত ত্রুটির উপস্থিতি প্রভৃতি। এছাড়াও এই সার্ভের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে ভূগর্ভস্থ পরিবেশ এবং ল্যান্ডস্কেপ। যার ফলে ট্র্যাক অবস্থানে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে তাপ প্রতিরোধমূলক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এই ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সার্ভে সেই অঞ্চল চিহ্নিত করতে এবং তা বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করবে।

এই এয়ারবোর্ন ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সার্ভের (Airborne Electromagnetic Survey) মাধ্যমে উন্নত মানের হাজার হাজার তথ্য তুলে ধরার জন্য ব্যবহার করা হবে এ.আই সিস্টেম সফটওয়্যার। যার মাধ্যমে উন্নত মানের তথ্য ফলাফল এবং আউটপুট বিশ্লেষণ এবং ত্রুটিপূর্ণ স্থানগুলিতে যথাযথ ব্যবস্থা প্রদান করা হবে। খবর রয়েছে, এখন থেকেই এই সার্ভের প্রস্তুতি করন শুরু হয়েছে। তবে তা পরিচালনা করা হবে বর্ষার সময় এবং তারপরেও কার্যকরী হবে। উল্লেখ্য বিষয় রেল পরিবহন ব্যবস্থার সমস্ত কিছু বিষয় সুনিশ্চিতকরণে এই সার্ভে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

Advertisements