নিজস্ব প্রতিবেদন : তীব্র গরমের কারণে চলতি বছর ২২ এপ্রিল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার পোষিত সমস্ত স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে গরমের ছুটি (School Summer Vacation) ৬ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল সেই জায়গায় তা এগিয়ে আনা হয়েছিল। ২২ এপ্রিল থেকে টানা ছুটির পর ১০ জুন অর্থাৎ সোমবার ফের পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের দরজা খোলে।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যেদিন থেকে ফের স্কুলের দরজা খোলা হল তার দিন তিনেক আগে থেকেই আবার দক্ষিণবঙ্গে তরতরিয়ে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ, কিছু জেলাকে তীব্র তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি ছিল বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মত জেলাগুলির। কোন কোন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পার করে যায় সোমবার।
গরমের ছুটি কাটিয়ে যেদিন স্কুল খুলল সেই দিন এমন পরিস্থিতির কারণে এমনিতেই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। এছাড়াও অনেকেই রয়েছেন যারা স্কুল চলাকালীন বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়। বাঁকুড়ায় পড়ুয়াদের অসুস্থতার খবরও পাওয়া গিয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই দাবি উঠছে ফের স্কুল ছুটি দেওয়ার অথবা স্কুলের সময় বদলে সকালে অর্থাৎ মর্নিং স্কুল করানোর।
সোমবার পরিস্থিতি দেখে এমনিতেই বেসরকারি বেশ কিছু স্কুল রয়েছে যেগুলি ফের বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের গরমের ছুটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৭ জুন। তবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এবং অভিভাবকরা সরকারি স্কুলের পুনরায় ছুটি অথবা মর্নিং স্কুল করার দাবি তোলা হলেও এখনো পর্যন্ত কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
পরিস্থিতি যা তাতে সোমবার স্কুলে এসে বেশ কয়েকজন পড়ুয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা যেমন সামনে এসেছে ঠিক সেই রকমই আগামী দিনেও এমন ঘটনা আরও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদেরও অনেকেই তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য শিক্ষা দপ্তর কি সিদ্ধান্ত নেয় তাই দেখার। কেননা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই এমন কঠিন পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলেই হাওয়া অফিসের তরফে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।