Hilsa Farming in Pond: জলের দরে মিলবে ইলিশ, ধার ধারতে হবে না বাংলাদেশের! বড় বন্দোবস্ত রাজ্যে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

The Government is Farming hilsa in pond to provide it to the people of the state: খাদ্য রসিক বাঙ্গালীদের দুপুরের ভোজে যদি ভাত ডাল আর মাছ থাকে তাহলে আর কিছুই লাগে নাষ তবে সেই মাছের রেসিপি যদি হয় ইলিশের তাহলে তো আর কথাই নেই। মাছের তেল, ইলিশ ভাপা, ইলিশ সরষে কত কি। কিন্তু বাজারে ভালো মানের ইলিশ কিনতে গিয়ে পড়তে হয় সমস্যায়। ঠিকঠাক মাছ পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও তা কিনতে পকেট থেকে বেরিয়ে যায় বেশ অনেক পরিমান টাকা। তবে এবার থেকে ইলিশ কিনতে আর খসবে না অত টাকা। সস্তায় রাজ্যবাসীকে ইলিশ দিতে নয়া উদ্যোগ রাজ্যের।

Advertisements

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হল ইলিশ মাছ। যা সমুদ্রের নোনা জলে বেড়ে ওঠে এবং ডিম পাড়ে মিষ্টি জলে। মাছের টেস্টও হয় দারুন। তবে বর্তমান সময়ে কমতে শুরু করেছে পদ্মার ইলিশের আমদানি রপ্তানি। গঙ্গাতেও সেরকমভাবে আগের মত ইলিশ পাওয়া যায় না। জাল ফেললে উঠে আসে ছোট ছোট ইলিশ। তাই ইলিশ মাছ সংরক্ষণে (Hilsa Farming in Pond) তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্য। কিন্তু সেই সংরক্ষণ পদ্ধতিও যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই ইলিশ মাছের বংশবৃদ্ধি অব্যাহত অব্যাহত রাখার জন্য নয়া উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা। সীমিত জায়গার মধ্যে ইলিশ মাছ সংরক্ষণের গবেষণা করেন ICAR অধীনস্থ মৎস্য গবেষণা সংস্থা সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট সহ ৩ সংস্থা ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল প্রায় পাঁচ বছর ধরে গবেষণা চালান এই মৎস সংরক্ষণ বিষয়ে। হাতেনাতে ফলাফল পান তারা।

Advertisements

সিআইএফআরআই-এর প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর শ্রীকান্ত সামন্তের কথায়, তাদের উদ্দেশ্য ছিল ইলিশ মাছের জীবন চক্রকে একটি জায়গার মাধ্যমে রেখে তা গবেষণা করা। সেই জায়গায় মাছকে সংরক্ষণ করা যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা। সেই গবেষণা চলাকালীন সময়েই তাদের ভাবনা আসে পুকুরে ইলিশ মাছ চাষের। প্রথম দফার গবেষণা শুরু হয পরবর্তীতে জলাশয়ে ইলিশ মাছ চাষ করে সেই গবেষণায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন মৎস্য গবেষকরা।

Advertisements

আরও পড়ুন ? কষ্ট করে আর বাজার যাওয়ার দরকার নেই! এইভাবে বাড়িতে বসেই পেয়ে যান সস্তার ইলিশ

সূত্রের খবর, যৌথ সংস্থার উদ্যোগে ১৭টি মৎস্য গবেষক পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলার (উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা) মোট চার জায়গায় ১৫টি পুকুরে ইলিশ চাষ (Hilsa Farming in Pond) শুরু করেন। যেসব ইলিশের ওজন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম। প্রায় ২০০০-এর বেশি ইলিশ চাষ করা হয়েছে পুকুরে। যেমন কোলাঘাটের রূপনারায়ণ নদীর জল মিশ্রিত পুকুরে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ১০০টি ইলিশ মাছ ছাড়া হয়েছিল। সেখান থেকে প্রজনন ঘটিয়ে সেই ইলিশ মাছের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫০০-এর বেশি। যার মধ্যে বেশ কিছু মাছের ওজন রয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। ফারাক্কা ব্যারেজেও ছাড়া হয়েছে ইলিশ মাছ। তবে এইভাবে পুকুরে ইলিশ মাছ চাষে সফলতা এলে আগামী দিনে সেই চাষ আরো বাড়বে বলে আশা রাখছে মৎস্য গবেষকরা। তবে শুধু মৎস্য চাষের গবেষণা নয় মাছের খাবারের উপরেও গবেষণা চালিয়েছে CIBA & CIFA দুই সংস্থা।

মূলত ইলিশ মাছ সংরক্ষণ, তাদের প্রজনন ঘটনোর ব্যবস্থা এইসব বিষয়ে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত গবেষণা করা হয়। তারপরেই ২০২১ থেকে পুকুরে ইলিশ মাছ চাষ (Hilsa Farming in Pond) করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেখান থেকে সফলতা পায় মৎস্য গবেষকরা। ফলে এবার থেকে পুকুরেও চাষ হবে রুপোলি মাছ। ফলে মাছের বাজারে ইলিশ মাছ পেতে আর হয়রানি হতে হবে না ক্রেতাদের। সহজেই সস্তায় মিলবে সুস্বাদু ইলিশ মাছ।

Advertisements