Central Govt Life Insurance will be available for only Rs 456 per annum: নিজের বা নিজের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে জীবন বীমায় বিনিয়োগ করে থাকেন বহু মানুষ। রয়েছে একাধিক বীমা সংস্থাও। জীবন বীমা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারও। উভয় সরকারের পক্ষ থেকেই রয়েছে একাধিক প্রকল্প যেগুলিতে বিনিয়োগ করলে যেকোনো প্রতিষ্ঠিত বীমা কোম্পানির চেয়েও বেশি সুবিধা পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এমনই ২ টো জীবন বীমা প্রকল্প (Central Govt Life Insurance) চালু করা হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। সামান্য কিছু অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে পাওয়া যাবে অনেক বড় সুবিধা।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা জীবন বীমা প্রকল্পগুলি (Central Govt Life Insurance) মূলত দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের জন্যই চালু করা হয়েছে। ২০১৫ সালে নিতান্ত দুস্থ পরিবারগুলির জন্য ২ টি আলাদা জীবন বীমা প্রকল্প চালু করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্প ২ টি হলো, প্রধানমন্ত্রী জীবনজ্যোতি বীমা যোজনা। এবং প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা। ২ টি বীমার ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকে বিনিয়োগ করতে হয় একেবারেই সামান্য কিছু অর্থ।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা বীমা প্রকল্পগুলির (Central Govt Life Insurance) নিয়ম অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি যদি কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত জীবন বীমার জন্য আবেদন করে থাকেন তবে তার নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পিএমএসবিওয়াই প্রকল্পের জন্য ২০ টাকা এবং পিএমজেজেবিওয়াই প্রকল্পের জন্য ৪৩৬ টাকা রাখতেই হবে। অর্থাৎ যে সমস্ত ব্যক্তিরা সরকারি জীবন বীমা প্রকল্পের জন্য নিজেদের নথিভুক্ত করেছেন তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বাৎসরিক ন্যূনতম ৪৫৬ টাকা থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতিবছর বীমার প্রিমিয়াম হিসেবে এই অর্থ জমা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে অটো ডেবিট পদ্ধতিতে এই প্রিমিয়াম গ্রহণ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কোন ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে যদি এই ন্যূনতম অর্থ না থাকে তাহলে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে তাকে।
প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা
প্রত্যেক ভারতীয় এই জীবন জ্যোতি বীমা প্রকল্পটির (Central Govt Life Insurance) সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। এই বীমা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য বয়স সীমা ধার্য করা হয়েছে ১৮ থেকে ৫০ বছর। প্রকল্পটির ম্যাচুরিটির সময় ধার্য করা হয়েছে ৫৫ বছর। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা জীবন বীমাটিতে বিনিয়োগ করার জন্য কোনরকম স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। ২০১৫ সালে যখন এই বীমা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল তখন এর বাৎসরিক প্রিমিয়াম ছিল ৩৩০ টাকা। বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৪৩৬ টাকা করা হয়েছে। এই বীমা কেনার ৪৫ দিনের মধ্যে যদি আবেদনকারী মারা যান, তাহলে বীমার কোনরকম সুযোগ-সুবিধা পাবে না তার পরিবার। কিন্তু যদি ৪৫ দিন অতিক্রম হওয়ার পর কোনো দুর্ঘটনায় মারা যান কোন ব্যক্তি, তাহলে সাথে সাথে ২ লক্ষ টাকা অব্দি আর্থিক সাহায্য পেতে পারে তার পরিবার।
প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছিল আরো একটি বীমা প্রকল্প (Central Govt Life Insurance)। যার নাম প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত দুর্ঘটনাগ্রস্ত জীবন বীমা কভারেজের সুবিধা পাওয়া যায়। প্রথমে এই বীমা প্রকল্পটির জন্য বাৎসরিক প্রিমিয়াম ধার্য করা হয়েছিল ১২ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ২০ টাকা। ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়স অবধি যে কোন ব্যক্তি এই বীমা প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। বীমার পরিষেবা গ্রহণকারী ব্যক্তির যেকোনো রকম দুর্ঘটনার জন্যই আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে এই বীমা প্রকল্প থেকে।
আরও পড়ুন ? SWP Plan: প্রতিমাসে পান ১০০০০ টাকা, শুধু একবার বিনোযোগ করুন SBI-এর এই SWP প্ল্যানে
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা জীবন বীমা প্রকল্প (Central Govt Life Insurance) ২ টিতে বিনিয়োগ করার জন্য নির্ধারিত সময় প্রতিবছর ১ লা জুন থেকে পরের বছর ৩১ শে মে পর্যন্ত। মে জুন মাসের এই সময়টাতে প্রত্যেকটি বীমাকারি ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে অটো ডেবিটের মাধ্যমে প্রিমিয়াম কেটে নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আপনি বাৎসরিক কত টাকার বীমা করতে চাইছেন তার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আপনার। দুর্ঘটনার পর বীমার সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ২ টি নিয়ম প্রযোজ্য।
- যদি কোন ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে বীমার পক্ষ থেকে সেই ব্যক্তি ১ লক্ষ টাকা অনুদান পাবেন।
- যদি কোন ব্যক্তি দুর্ঘটনার ফলে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হয়ে পড়েন অথবা তার মৃত্যু হয়, তাহলে তার পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে বীমার পক্ষ থেকে।
Disclaimer: বাংলাXP কোনো সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI) নিবন্ধিত আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা নয়। উপরিক্ত নিবন্ধটি শুধুমাত্র তথ্যমূলক উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। বাংলাXP কোনোভাবেই কাউকেই বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করে না। কোনো খাতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে নিজেস্ব চিন্তা-ভাবনা, গবেষণা এবং বাজারগত ঝুঁকি নেওয়ার সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।