নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে ভোট, এই দুয়ের কারণে চলতি বছর রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলি দীর্ঘ ৪৯ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর ১০ জুন থেকে পুনরায় পড়ুয়াদের জন্য খুলেছে স্কুলের দরজা। তবে যেদিন থেকে স্কুলের দরজা খুলেছে সেই দিন থেকে আবার গরম এতটাই বেড়েছে যে অধিকাংশ স্কুলে ২৫ শতাংশ পড়ুয়াদের উপস্থিতি নেই।
এমনিতেও বেশ কিছু স্কুল পুনরায় খোলার পরও পড়ুয়াদের নিয়ে ক্লাস করাতে পারছে না। এমন ঘটনার পিছনে রয়েছে বড় এক কারণ। আর সেই কারণের জেরে স্কুলে ক্লাস করাতে না পারায় রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরা। এমনকি ঘটনা এতটাই বড় আকার নিয়েছে যে এর জল হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়াতে দেখা গেল।
চলতি বছর সাত দফা ভোট এসেছে ৪ জুন ভোটের ফলাফল সামনে আসে এবং একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করেছে এনডিএ। কিন্তু এই সকল সমস্ত কাজকর্ম হয়ে গেলেও বাংলার বেশ কিছু জায়গায় এখনো কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে। আসলে লোকসভা নির্বাচন নিতে গেলেও নির্বাচন কমিশন এখনো পর্যন্ত বাংলার বেশ কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন ? School Summer Vacation: ফের গরমের ছুটি? আবার বন্ধ স্কুল? দেড় মাস পর সোমবার স্কুল খুলেই যা যা ঘটলো
ভোট মিটে যাওয়ার পরেও রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার মতো ঘটনা সামনে আসছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য নির্বাচন কমিশন বাংলার বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন রাখার মেয়াদ ১৯ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকার জন্য সরকারি স্কুলগুলিকেই বেছে নিতে হচ্ছে। আর সরকারি স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় গরমের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও স্কুল খোলা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ক্যাম্প করে থাকার ফলে স্কুল খুলতে না পারার মতো যে ঘটনা ঘটছে সেই ঘটনাকে সামনে রেখে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দুই আইনজীবী জিষ্ণু চৌধুরী এবং অয়ন পোদ্দার। তারা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এমনকি তারা এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ গ্রহণের দাবী তুলেছেন। এই সংক্রান্ত আবেদন বুধবার অর্থাৎ আজ শুনবে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।