Accommodation of tourists at Cheap rates through Police Station Tourism: পুলিশ স্টেশন নাকি পর্যটন কেন্দ্র? নাকি গোটা পুলিশ স্টেশন টাই ১ টা পর্যটন কেন্দ্র ? হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। মুর্শিদাবাদে রয়েছে এমন ১ টি পুলিশ স্টেশন, যার মধ্যে রয়েছে আস্ত একটি পর্যটন কেন্দ্র (Police Station Tourism)। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষই পুলিশ স্টেশন চত্বরকে একটু এড়িয়েই চলেন। কিন্তু পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই যদি হয় এমন আকর্ষণীয় একটি পর্যটন কেন্দ্র, তাহলে তো সব ভয় কাটিয়ে একটু ঘুরে দেখতেই হবে পুলিশ স্টেশন চত্ত্বরটি। মুর্শিদাবাদের হরিহরপুর থানা এমন সুযোগ করে দিয়েছে পর্যটকদের জন্য।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এলাকার অন্তর্গত হরিহরপুর থানার ভিতরে রয়েছে ডিয়ার পার্ক থেকে শুরু করে লাইব্রেরী, খেলার মাঠ, জিম আরো কত কি! এমন কি থাকার জন্য বিলাসবহুল এসি ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে এই থানায়। এই ঘরগুলিতে আপনি পরিবার নিয়েও থাকতে পারবেন। ইংরেজদের রাজত্বকালে এটি ছিল একটি নীলকুঠি। পরবর্তীতে সেই নীলকুঠি টিকে থানায় রূপান্তরিত করা হয়। আপনি চাইলে থানার ভিতরের বড় মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট ইত্যাদি খেলতে পারবেন। এছাড়া শিশুদের জন্য আলাদা শিশু উদ্যানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ডিয়ার পার্ক এলাকায় জঙ্গলের ভিতরে একটি আনন্দ আশ্রমও রয়েছে পুলিশ স্টেশনের ভিতর তৈরী হওয়া পর্যটন কেন্দ্রে (Police Station Tourism)।
মুর্শিদাবাদ ট্যুরিজমের অন্তর্গত এই থানাটিকে নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে পর্যটক মহলে। কিন্তু এতদিন এখানে থাকার সুব্যবস্থা না থাকার কারণে সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি থানার ভিতর গড়ে ওঠা পর্যটনকেন্দ্রটি (Police Station Tourism)। বর্তমানে পর্যটকদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এই পুলিশ স্টেশনে। তৈরি করা হয়েছে সুখনীড় এবং শান্তি নীড় নামক দুটি রিসর্ট। সুখনীড়ে রয়েছে অন্যান্য হোটেলের মতন ডিলাক্স রুমের ব্যবস্থা। আর শান্তিনীড়ে পাওয়া যাবে সাধারণ এসি রুম। তাই দুটি বিল্ডিংয়ে থাকার খরচের দিক থেকে পার্থক্য রয়েছে। অনলাইন, অফলাইন ২ ভাবেই এই রিসর্টগুলিতে থাকার জন্য বুকিং করা যায়। এছাড়া এখানে রয়েছে একটি ক্যান্টিন। যার নাম দেওয়া হয়েছে খোলা হাওয়া। এখানে আপনি আপনার পছন্দমত খাবার-দাবার পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন ? Miyazaki Mango: ইঞ্জিনিয়ারের বাগানে ফলছে তাক লাগানো ফল, আড়াই লাখে কিনতে এসেও থ ক্রেতারা
কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বাসে করে বহরমপুর চলে যাওয়া যায়। তারপর বহরমপুর স্টেশন বা বাস স্ট্যান্ড থেকে হরিহরপুর থানার দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। পুলিশ স্টেশনের ভিতরেই অনেক বড় এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে পর্যটনশিল্প (Police Station Tourism)। আপনি চাইলে শুধু থানার ভেতরের অংশটুকু ঘুরে দেখতে পারেন, আবার কেউ যদি চান তাহলে সেখানে থেকে বাইরের এদিক-ওদিক থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। এই থানার ভেতর অবস্থিত রিসর্টগুলিতে ২ ধরনের রুম পাওয়া যায়। ২ জন থাকার মতো রুমটির ভাড়া পড়বে প্রতিদিন ১০০০ টাকা করে। আর ৪ জন থাকার মতন রুমটির ভাড়া পড়বে ১৬০০ টাকা প্রতিদিন হিসেবে। এছাড়া ক্যান্টিন থেকে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ তো রইলোই।
সবুজে ঘেরা বিস্তীর্ণ এলাকা, ফুলের বাগান, আর পাখির ডাকের মাঝে কিছুটা সময় নিশ্চিন্তে কাটিয়ে আসার জন্য চলে যেতে পারেন থানার ভিতরে অবস্থিত এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে (Police Station Tourism)। এখানে থাকা খাওয়ার জন্য আগে থেকে অনলাইনে বা ফোন করেও বুকিং করা সম্ভব। অনলাইন বুকিং এর জন্য রয়েছে একটি ইমেইল আইডি এবং কল করে বুকিং করার জন্য রয়েছে একাধিক ফোন নম্বর। মূলত যে বিল্ডিংটিতে পুলিশ স্টেশনটি গড়ে উঠেছে সেটিও একটি ঐতিহাসিক ইমারত। তাই ভবিষ্যতে সেই বাড়িটিকেও পুলিশ স্টেশন ট্যুরিজম (Police Station Tourism) হিসেবে গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা করছি কর্তৃপক্ষ।