নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রতিদিন প্রায় দু’কোটি যাত্রী রেল পরিষেবার ওপর ভর করে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন। বিপুলসংখ্যক এই যাত্রীদের প্রতিদিন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় রেল (Indian Railways) প্রতিনিয়ত নিজেদের কাজ করে চলেছে। তবে ইদানিং কালে বেশ কিছু আশ্চর্যজনক ঘটনা সামনে আসছে যেগুলি দেখে খোদ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
যে সকল ঘটনায় ইদানিংকালে সামনে আসছে সেই সকল ঘটনায় রেলের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেননা ইদানিংকালে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনের স্লিপার কোচ থেকে শুরু করে এসি কোচ গাজোয়ারি করে জবরদখল করার অভিযোগ উঠছে। এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অবাঞ্ছিত। মূলত অবাঞ্ছিত যাত্রীদের (AC Coach Illegal Passengers) জন্যই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে।
সাম্প্রতিক কালের কিছু ঘটনার দিকে নজর রাখলে দেখা যাবে, অত্যধিক গরমের কারণে বহু রেলযাত্রী রয়েছেন যারা সাধারণ কামরার অথবা স্লিপার কোচের টিকিট করে এসি কামরায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। এর ফলে একদিকে যেমন এসি কামরার যাত্রীরা নিজেদের স্বাচ্ছন্দ হারিয়েছেন, ঠিক সেই রকমই আবার তারা এত এত টাকা খরচ করে পরিষেবা পাননি। শুধু তাই নয়, এছাড়াও হামেশাই দেখা যায়, জেনারেল কামরার টিকিট করে বহু যাত্রীরা রিজার্ভেশন কামরায় উঠে পড়েন। এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রেও কিন্তু নানান সমস্যায় পড়তে হয় যারা ন্যায্য টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কিনছেন।
এই ধরনের একের পর এক ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব গত ১৩ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রেলের সমস্ত জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। যে ভিডিও কনফারেন্স তিনি রেল মদত অ্যাপে সামনে আসা একের পর এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দৃষ্টি রেখে অবাঞ্ছিত যাত্রীদের উৎপাতের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এই ধরনের ঘটনা ঠেকানোর জন্য সমস্ত জোনকে বিশেষ অভিযান চালাতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন, সূত্র মারফত এমনটাই জানা যাচ্ছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের এমন নির্দেশের পর ইতিমধ্যেই রেলের যে সমস্ত জোন রয়েছে সেই সমস্ত জোনে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে এবং এই ধরনের ঘটনায় রেলের তরফ থেকে যাত্রীদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণে জরিমানা আরোপ করা হয়। জরিমানা আরোপ করার পাশাপাশি আরো কঠোর ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে পারে রেলের আইন অনুযায়ী রেল কর্তৃপক্ষ। সুতরাং এবার যে সকল যাত্রীরা এই ধরনের কাজকর্ম করে থাকেন তাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং সেই সকল যাত্রী যারা ন্যায্য টাকা দিয়ে নিজেদের স্বাচ্ছন্দের শ্রেণীতে সফল করছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।