India made their first indigenous drone Nagastra-1 to counter china and Pakistan: ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের প্রথম দেশীয় ড্রোন পেয়েছে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে। এই মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি), যা Nagastra-1 নামে পরিচিত, সোলার ইন্ডাস্ট্রিজ নাগপুর তৈরি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে কোম্পানিটি ইসরায়েল এবং পোল্যান্ডের প্রতিযোগীদের পরাজিত করে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) নাগাস্ত্র সরবরাহ করার বিশাল একটি অর্ডার পেয়েছে। তো চলুন আজকের প্রতিবেদনে এই যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে বিশদে জানা যাক।
Nagastra-1-এর মতো ড্রোন হল একধরনের লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র, যেটিতে বায়বীয় অস্ত্র একটি অন্তর্নির্মিত ওয়ারহেড দিয়ে ডিজাইন করা হয়, যা সাধারণত প্রথমেই টার্গেটে প্রত্যক্ষভাবে না গিয়ে তার চারপাশে ঘোরাঘুরি করার জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। টার্গেটের গতিপ্রকৃতি লক্ষ্য করে তবেই এটা আক্রমণ করবে।
ড্রোনগুলি সম্পূর্ণরূপে ভারতে ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড (ইইএল) দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে, যা সৌর শিল্পের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান, এবং এতে ৭৫% বেশি দেশীয় সামগ্রী রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সৌর শিল্পের ইকোনমিক্স এক্সপ্লোসিভস লিমিটেডকে জরুরী তলব করে ৪৮০ টি ড্রোণ তৈরি করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। প্রি-ডেলিভারি দেওয়ার পর তা সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ করার পর, ১২০টি যুদ্ধাস্ত্র ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন।
ড্রোনগুলি শত্রুদের প্রশিক্ষণ শিবির, লঞ্চ প্যাড এবং অনুপ্রবেশকারীদের সঠিকভাবে আঘাত করতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে, যা সৈন্যদের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন ? India China Conflict: ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’, এবার চীনকে সবক দিতে চীনকেই কপি ভারতের! ঘটবে নতুন ঘটনা
নাগাস্ত্র-১ (Nagastra-1) কি?
- Nagastra-1, একটি “কামিকাজে মোডে”, 2m নির্ভুলতার সাথে বানানো ড্রোণ, যেটাতে GPS-এর অ্যাক্সেস রয়েছে।
- এটি যেকোনো প্রতিকূল অবস্থাতে সেনাবাহিনীর একটি বড় সাপোর্ট হয়ে উঠতে পারে।
- এটিতে ম্যান-পোর্টেবল ফিক্সড-উইং ইলেকট্রিক ইউএভি রয়েছে, যার ওজন ৯ কেজি, এর সহ্য ক্ষমতা ৩০ মিনিট।
- এটিতে ম্যান-ইন-লুপ রেঞ্জ ১৫ কিমি এবং একটি স্বায়ত্তশাসিত মোড আছে, যার রেঞ্জ ৩০ কিমি।
- এটির বৈদ্যুতিক প্রপালশন সিস্টেমের জন্য এটিকে ২০০ মিটারেরও বেশি উচ্চতায় শত্রুরা সনাক্ত করতে পারবেনা।
- যুদ্ধাস্ত্রগুলি ১৫ কিমি রেঞ্জ পর্যন্ত ১ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে পারে, একটি আপগ্রেড সংস্করণ ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২.২ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।
- এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল প্যারাসুট পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘর্ষ সহ সমসাময়িক দ্বন্দ্বে এই ধরনের যুদ্ধাস্ত্র ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।