These flights to Ayodhya are being suspended due to lack of demand: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পুন:উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুরুর দিন থেকে পর্যটকদের ভিড় উপছে পড়েছে মন্দির চত্বরে। স্বাভাবিক নিয়মে মন্দির চত্বরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একাধিক ব্যবসা। কিন্তু হঠাৎই যেনো ছন্দপতন। রাম মন্দিরের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ ধীরে ধীরে কমছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে এই মন্দিরের চাহিদা প্রতিনিয়ত কমছে। তাই কমছে বিমান পরিষেবার চাহিদাও। অযোধ্যাগামী একাধিক বিমান পরিষেবা (Flights to Ayodhya) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান সংস্থাগুলি।
আগের তুলনায় আযোধ্যায় পর্যটকদের ভিড় কমেছে। যার ফলে কমেছে বিমান পরিষেবা ব্যবহারের চাহিদা। গত কয়েক সপ্তাহে টিকিট বিক্রির হার একেবারেই নিম্নগামী। তাই বেশ কিছু রুটের বিমান পরিষেবা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে বিমান সংস্থাগুলি। আর কিছু পরিষেবা এখনো চালু থাকলেও খুব শীঘ্রই তা বন্ধ করে দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে তারা। ১লা জুন হায়দ্রাবাদ-অযোধ্যা রুটের বিমান পরিষেবা (Flights to Ayodhya) বন্ধ করে দিয়েছিল স্পাইসজেট। এরপর ১৫ই জুলাই কলকাতা-অযোধ্যা বিমান পরিষেবা বন্ধ করতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস।
২ মাস আগেই স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে অযোধ্যাগামী বিমান পরিষেবা (Flights to Ayodhya) চালু করা হয়েছিল। কিন্তু চাহিদার অভাবে এই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থা। ইতিমধ্যে ১ লা জুন হায়দ্রাবাদ-অযোধ্যা রুটের বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র এই রুটেই ৩ টি বিমান চলাচল করতো। কিন্তু সংস্থার কাছ থেকে জানা গেছে এখনো চেন্নাই-অযোধ্যার রুটের বিমান পরিষেবা চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। চাহিদা আর বাণিজ্যিক ক্ষতির কারণে বন্ধ করা হচ্ছে এই বিমান পরিষেবাগুলি।
একই কারণে বন্ধ হতে চলেছে কলকাতা থেকে অযোধ্যা যাওয়ার একমাত্র বিমান পরিষেবা। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আপাতত চাহিদা না থাকায় এই বিমান পরিষেবা বন্ধ (Suspensed Air Service) করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে আবারো চালু করা হবে বিমান পরিষেবাটি। শুরুর দিন গুলিতে যে মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখের কাছাকাছি, এখন সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৫০০০০ থেকে ৮০ হাজারের মধ্যে।
অযোধ্যার প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ কমার এবং বিমান পরিষেবা বন্ধ (Flights to Ayodhya) হবার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে—
- মন্দির চত্বরে পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকার ব্যবস্থা নেই। অযথা যে পরিমাণ পর্যটকদের ভিড় হচ্ছিল সেই অনুযায়ী, হোটেল রুমের ব্যবস্থা নেই।
- পর্যটকদের চাহিদা সামাল দিতে অযথা একটি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গড়ে তোলেন নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দরটিতে ধারণ ক্ষমতা রয়েছে মাত্র ২৫০ জনের। যদিও ভবিষ্যতে এই বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতা আরো বাড়ানো হবে বলে আশা দেওয়া হয়েছে।
- এছাড়া স্টেশন চত্ত্বর রাস্তাঘাট যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদির উন্নতিকল্পে ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার খরচ হওয়ার কথা ছিল। এই খরচের প্রভাব সরাসরি পড়বে বিমান সংস্থাগুলির আয়ের উপর।