The central government has issued a new notification on the purchase of gold: সোনা আমদানি নিয়ে এবার তৎপর হলো কেন্দ্র সরকার। পরিবর্তন আনল সোনা আমদানির নিয়মে। বাড়ালো সোনা আমদানি কর। যার ফলে পকেটে চাপ বাড়তে চলেছে সোনা ক্রেতাদের (Gold Purchase)। সোনা আমদানি নীতিতে কি নিয়ম পরিবর্তন করল কেন্দ্র সরকার? কেনই বা এত কড়া নিয়ম? সোনা কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিন তার কারণ।
মহিলাদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বস্তু হলো সোনা-রুপোর অলংকার। সোনার জিনিস পড়তে কম-বেশি সকল মহিলাই ভালবাসে। তবে সোনা বেশিরভাগই আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে। আর সেই আমদানির উপর ব্যয় করতে হয় ট্যাক্স। এবার সেই সোনা-রুপো আমদানিতেই (Gold Purchase) কড়া নিয়ম ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার।
কেন্দ্র সরকার তরফে জানানো হয়েছে, এবার থেকে সোনার গহনা আমদানিতে অনুমোদন নিতে হবে সরকারের। অর্থাৎ ডিজিএফটি তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, বিদেশ থেকে মুক্তো, দামি পাথর খচিত সোনার গহনা, বেশ কয়েক ধরনের ডায়মন্ড কেনা বা ভারতে আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি নীতি সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে। আর এই সীমাবদ্ধ নীতিতে পণ্য আমদানি করতে হলে প্রয়োজন লাইসেন্সের অথবা সরকারি অনুমোদনের। মূলত বিশেষ ৫ ধরনের সোনার গহনায় এই নীতি প্রয়োগ করা হবে। শুধু তাই না পাশাপাশি সোনা-রুপো বারের আমদানি কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১১ শতাংশ থেকে বর্তমানে সোনা-রুপো বারের কর ধার্য করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। কিন্তু কেন হঠাৎ এই নিয়ম বদল? নেপথ্যে কারণ কি?
আরও পড়ুন ? Precious Metal: সোনা রুপোকে টেক্কা! এবার ভারতে বাড়ছে আরও একটি ধাতুর ব্যবহার
সূত্র মারফতে জানা গিয়েছে, সোনা-রুপোর বার এবং সোনা-রুপোর মুদ্রায় HSN কোডের পার্থক্য রয়েছে। যার কারণে বহু ক্রেতা বারের বদলে সোনা-রুপো মুদ্রা আমদানি করতো। এই রাস্তা বন্ধ করতেই নিয়ম বদল কেন্দ্র সরকারের। শুধু এই কারণ নয়, এছাড়াও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দেশগুলিতেও আমদানির পরিমাণ হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। কারণ এই দেশগুলিতে আমদানি-রপ্তানি, নিয়ন্ত্রক আইন, কোটা, ভর্তুকি ইত্যাদি বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়। যার ফলে উৎপাদনকারী সংস্থার ব্যয় কমে যাওয়ার ফলে পণ্য মেলে সস্তায়।
অন্যদিকে কোম্পানিও ভালো লাভ অর্জন করতে পারে। যার ফলে চিন্তায় পড়ে কেন্দ্র সরকার। তাই তড়িঘড়ি করে নিয়ম পরিবর্তন করে কেন্দ্র সরকার। মূলত সোনার গ্রাহক হিসেবে চীনের পরেই রয়েছে ভারতের স্থান। অর্থাৎ ভারত হল দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা গ্রাহক (Gold Purchase)। যার ফলে ভারতে বৃদ্ধি পেয়েছে সোনা আমদানি। যে কারণে এপ্রিল মাসে পাঁচ মাসের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি পৌঁছেছে সর্বোচ্চ ১৯.১ বিলিয়ন ডলারে। মোট আমদানি পণ্যের মধ্যে ৫ শতাংশের বেশি রয়েছে সোনার পরিমান। এইসব কারণেই সোনা আমদানির নিয়মে আমূল পরিবর্তন করে কেন্দ্র সরকার। তবে HSN কোডের আওতায় গহনা কেনার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু কেন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হচ্ছে তার কারণ খুঁজতেই নজরদারি আওতায় আনা হচ্ছে।