Earned Leave Encashment: টাকা বাঁচানো অতীত! হাইকোর্টে মিলল না স্বস্তি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের পকেট থেকে খসবে বেশি টাকা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সময় নিজেদের পাওনা গন্ডা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে দেখা যায়। কখনো কখনো দুই পক্ষের দাবি-দাওয়া বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছায় যে তা নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে হাইকোর্ট, এমনকি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত জল গড়িয়ে থাকে। এই ধরনের ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের জয়জয়কার হতে দেখা গিয়েছে, মুখ পুড়তে দেখা গিয়েছে সরকারে। তবে এবার ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটলো একটি মামলায়।

Advertisements

আর্নড লিভ ইনক্যাশমেন্ট (Earned Leave Encashment) সংক্রান্ত একটি মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আসলে এই ক্ষেত্রে কত টাকা পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যাবে তা নিয়ে মামলা হয় আদালতে। সরকারের তরফ থেকে এই ক্ষেত্রে যে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল তা সরকারি কর্মচারীদের পছন্দ হয়নি এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার যাতে পুনরায় বিবেচনা করে তার জন্যই তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

Advertisements

সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করে জানানো হয়েছিল, সরকারের তরফ থেকে আর্নড লিভ ইনক্যাশমেন্টের সীমা নির্ধারণ করে যতদিন না কোন সার্কুলার জারি করবে ততদিন পর্যন্ত আয়করের ক্ষেত্রে ছাড়ের জন্য দাবি করতে পারবেন না রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু এই বিষয়টি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পছন্দ না হওয়ার কারণে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এবং রাজ্য সরকারকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য যাতে আদালত নির্দেশ দেয় তার জন্য রিট পিটিশন করা হয়েছিল। তবে আদালত এই বিষয়ে জানিয়ে দেয়, আর্নড লিভ ইনক্যাশমেন্ট বাবদ কত টাকা আয়কর ছাড় দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা একান্তই সরকারের অধিকার।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Order for Government Employees: DA বাড়িয়ে সরকারী কর্মীদের আরাম ছিনিয়ে নিল সরকার, জারি ঘুম কেড়ে নেওয়া নির্দেশিকা

কেরল কো অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন সংস্থায় যে সকল কর্মীরা কর্মরত ছিলেন এবং এখন অবসর নিয়েছেন তারা এই সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাদের তরফ থেকে যে দাবি করা হয়েছে তা হলো, আর্নড লিভ ইনক্যাশমেন্ট বাবদ কর ছারের যে ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা বিবেচনা করা হোক। আয়কর আইন ১৯৬১-র ১০এএ(২)-এর অধীনে ২০০২ থেকে এই সংক্রান্ত মাত্র একটি সংশোধন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আয়কর বাবদ যে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে তা তারা ফেরতের দাবি তুলেছেন।

আর্নড লিভ ইনক্যাশমেন্ট বাবদ কর ছাড়ের ক্ষেত্রে ২০২৩ সালে যে নিয়ম জারি করা হয়েছে তার ঊর্ধ্বসীমা হল ২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু এর আগে যে সকল কর্মীরা অবসর নিয়েছিলেন তারা আর্নড লিভ ইনক্যাশমেন্ট বাবদ ছাড় পেয়েছিলেন মাত্র ৩ লক্ষ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই খারাপ অনেক বেশি থাকার কারণেই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আদালত এই সংক্রান্ত মামলায় তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারল না।

Advertisements