Toilet time limit: টয়লেট গিয়েও শান্তি নেই চীনে! ঢুকে থাকার সময় বেঁধে দিল প্রশাসন

Antara Nag

Published on:

Advertisements

The Xi Jinping Government also set a time limit for staying in the toilet in China: কেউ বাথরুমের কাজ সাড়েন দ্রুত গতিতে। আবার কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেন বাথরুমের ভিতরেই। বাথরুম দখল করে রাখা কিছু মানুষের অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যেস। নিজস্ব, ব্যক্তিগত বাথরুম ছাড়াও অনেকেই পাবলিক টয়লেটে গিয়েও এমনই আচরণ করেন। অপেক্ষারত বাকিদের সমস্যার কথা চিন্তাও করেন না তারা। বারবার নক করলেও খালি করেন না বাথরুম। অত্যন্ত খারাপ অভ্যেসগুলির মধ্যে অন্যতম এই বাথরুম দখলের অভ্যেসটি। তবে এখন থেকে আর সেই সুযোগ পাবেন না কেউ। পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার সময়সীমা (Toilet time limit) বেঁধে দিল চীন।

Advertisements

ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীন। এখন থেকে বাথরুমে অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এই দেশটি। টয়লেট ব্যবহারের সময়সীমা (Toilet time limit) নিয়েই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা। একজন ব্যক্তি কতটা সময় ধরে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করছেন তার উপর নজর রাখছে চীন সরকার। পাবলিক টয়লেট গুলির উপরে বসানো হয়েছে টাইমার। কোনো ব্যাক্তি দরজা খুলে ভিতরে গেলেই টাইমার শুরু হয়ে যাবে। আবার দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে টাইমারটি। কিছুদিন আগেই চীনের বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্রের বাথরুমে এই প্রযুক্তি বসানো হয়েছে।

Advertisements

চীনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ইউনগাং বৌদ্ধ মন্দির। এটি অত্যন্ত প্রাচীন একটি বৌদ্ধ মন্দির। ইউনেস্কো চীনে এই বৌদ্ধ মন্দিরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে সম্মানিত করেছে। এখানে ২০০ টিরও বেশি গুহার ভিতরে রয়েছে কয়েক হাজার বুদ্ধ মূর্তি। বর্তমানে এখানকার পর্যটন কেন্দ্রের বাথরুমেই বসানো হয়েছে টাইমার। মাপা হয়েছে পর্যটকদের টয়লেট ব্যবহারের সময়সীমা (Toilet time limit)। এমনটাই তথ্য পাওয়া গেছে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদন থেকে। কেউ যদি অতিরিক্ত সময় বাথরুমে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাজা প্রদান করতে পারে চীন সরকার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয় নিয়ে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Nagastra-1: এক ছোবলেই ছবি! ভয়ে কাঁপছে চীন, পাকিস্তান! ভারতীয় সেনারা হাতে পেল নাগাস্ত্র

এমন অনেক পর্যটক আছেন যারা একবার বাথরুমে ঢুকলে আর বেরোতে চান না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কাটিয়ে দেন বাথরুমে। ঘন্টার পর ঘন্টা দখল করে রাখেন বাথরুমটি। ফলে সমস্যায় পরেন বাকি পর্যটকরা। বাথরুমের বাইরে অপেক্ষা করতে হয় বহু সময়। বারবার নক করলেও কোন লাভ হয় না। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য টয়লেট ব্যবহারের সময়সীমায় (Toilet time limit) বিধি নিষেধ জারি করতে বাধ্য হয়েছে চীন সরকার। কে কতটা সময় বাথরুম ব্যবহার করছে তা যাচাই করার সবচেয়ে সহজ উপায় টাইমার বসানো। এমনটাই দাবি করছে চীন প্রশাসন।

একবার বাথরুমের দরজা বন্ধ হবার পর কতক্ষন সেই দরজা বন্ধ থাকবে সেই সময়টুকুই রেকর্ড হবে এই টাইমারে। কেউ যদি দরজা খোলা রেখে বাথরুম ব্যবহার করতে থাকে তাহলে তা টাইমারে ধরা পড়বে না। কেউ যদি অনেকটা সময় বাথরুমে কাটিয়ে দেন তাহলে যে তাকে জোর করে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হবে তাও নয়। পর্যটন কেন্দ্রের তরফ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়নি। তবে প্রশাসন সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু টয়লেট ব্যবহারের সময়সীমা (Toilet time limit) নির্ধারণের ক্ষেত্রে টাইমার বসানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে একাংশ। তাদের মতে বাথরুম ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করার অর্থ ব্যক্তি গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করা। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা।

Advertisements