নিজস্ব প্রতিবেদন : ছোট কাপড়ের দোকান করে, জামা কাপড় বিক্রি করে আর কত টাকায় রোজগার হয়? স্বাভাবিকভাবেই সামান্য ওই টাকায় সংসার চালাতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছিল আজাদ আনসারি নামে এক যুবকের। হাজার কষ্টের মধ্যে নিজের একটি পাকা বাড়িও করা সম্ভব হয়নি। তবে এসবের মধ্যেও আনসারি কিন্তু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। আর তার সেই স্বপ্নই বাস্তব রূপ নিল সম্প্রতি।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আজাদ আনসারী ছোট্ট কাপড়ের দোকান চালিয়েও বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট (Lottery Ticket) কাটতেন। তবে এত বছর ধরে লটারির টিকিট কেটে আসলেও কোনদিন ২০০০ টাকার বেশি পুরস্কার তার টিকিটে লাগেনি। শেষমেষ ওই আনসারীর টিকিটেই উঠল প্রথম পুরস্কার (Dear Lottery Prize) কোটি টাকা।
আজাদ আনসারী কখনো দোকান চালানোর সময় আবার কখনো দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বড়লোক হওয়ার তাগিদে লটারির টিকিট কাটতেন। ঠিক সেইরকমই গত সপ্তাহের শুক্রবার দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় কিছু টিকিট কেটে ছিলেন। টিকিট কাটার কিছু পরেই তিনি জানতে পারেন তার টিকিটে প্রথম পুরস্কার কোটি টাকা উঠে এসেছে। প্রথমে কোটি টাকা পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি, তবে পরে তা সত্যি জানতে পেরেই রীতিমতো আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন।
আরও পড়ুন ? Dear Lottery: Dear Lottery-র পুরস্কারের নিয়মে বদল! এবার নতুন নিয়মে মাথায় হাত ক্রেতাদের
আজাদ আনসারী জানিয়েছেন, কাপড়ের দোকান চালিয়ে তিনি কখনোই তার পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে নিজের সব চাহিদা পূরণ করতে পারেননি। আর এই কারণেই টিকিট কাটতেন যদি কোনদিন বড় পুরস্কার আসে। আর সেই বড় পুরস্কারই তার ভাগ্য বদলে দিল। তিনি জানিয়েছেন, এই টাকা দিয়ে তিনি নিজের এবং নিজের পরিবারের জন্য একটি পাকা বাড়ি তৈরি করাবেন। পুরস্কারের টাকা দিয়ে নিজের ব্যবসা বাড়িয়ে ওই টাকা দ্বিগুণ করার চেষ্টা করবেন। তবে এরপর থেকে আর তিনি লটারির টিকিট কাটবেন না বলেও জানিয়েছেন।
লটারির টিকিটে প্রথম পুরস্কার জেতার খবর জানতে পেরেই আজাদ আনসারী এবং তার বাবা কদম আনসারী নিরাপত্তার জন্য পূর্বস্থলী থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশের তরফ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতা করা হয়েছে। অন্যদিকে যে দোকান থেকে তিনি টিকিট কেটেছিলেন সেই দোকানে তারপর থেকেই টিকিট কেনার হিড়িক পড়ে গিয়েছে। সবাই এখন কোটিপতি হওয়ার আশায় ওই দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন টিকিট কেনার জন্য।