নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরবঙ্গের প্রবেশ করার ২০ দিন পর ঘুম ভাঙলো বর্ষার (Monsoon)। আর সেই ঘুম ভাঙতেই সে ধীরে ধীরে এগোতে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) দিকে। দক্ষিণবঙ্গের দিকে অগ্রসর হওয়ার পর অবশেষে ২১ জুন বেশ কিছু জেলায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর (Monsoon Entered South Bengal) প্রবেশ হয়ে গেল। তবে এখনো পর্যন্ত ১০টি জেলা রয়েছে যেগুলিতে বর্ষা ঢোকেনি।
বর্ষা দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশের আগে বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ বেশ কিছু জেলায় প্রাক বর্ষার বৃষ্টি দেখা যায়। দীর্ঘ গরম, তাপ প্রবাহ চলার পর অবশেষে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বর্ষার আগমনের ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে। আগের মত তীব্র গরম নেই, তবে অস্বস্তি যে একেবারেই উধাও হয়ে গিয়েছে তাও নয়।
হাওয়া অফিস সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে শুক্রবার উত্তরবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা হয়ে দক্ষিণবঙ্গের কিছু কিছু জেলায় বর্ষা পদার্পণ করে। শুক্রবার যে সকল জেলায় পাকাপাকিভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছে সেই সকল জেলাগুলি হল মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতায়। এই সকল জেলা জুড়ে বর্ষা প্রবেশের পাশাপাশি আংশিকভাবে কিছু কিছু জেলায় বর্ষার আগমন হয়ে গেছে। আংশিকভাবে বর্ষা ঢুকেছে বীরভূমের মুর্শিদাবাদ ঘেঁষা অংশে, পূর্ব বর্ধমানের নদীয়া ঘেঁষা অংশে, হুগলির নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনা ঘেঁষা অংশে এবং হাওড়ার কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা ঘেঁষা অংশে।
তবে এই সকল জেলায় বর্ষার আগমন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত যে সকল জেলায় পুরোদমে বর্ষা প্রবেশ করলো না সেই সকল জেলাগুলি হল বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর। তবে এই সকল জেলায় শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যেই পুরো দমে বর্ষার দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ছড়িয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই আগামী ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নদীয়ার স্বরূপনগরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি অন্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি শনিবার দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি জেলা বাদে অন্যান্য জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে।