নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের টেলিকম বাজারে যে সকল টেলিকম সংস্থা দেশের মানুষদের পরিষেবা দিচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো Jio, Airtel, Vi। এছাড়াও এই টেলিকম সংস্থাদের তালিকায় রয়েছে BSNL। BSNL বাদে বাকি তিন টেলিকম সংস্থা বেসরকারি টেলিকম সংস্থা, একমাত্র বিএসএনএল রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা হিসেবে পরিষেবা প্রদান করছে।
বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি একদিকে যেমন তাদের গ্রাহকদের প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিক দিয়ে এ ক্লাস পরিষেবা দিচ্ছে, ঠিক সেই রকমই আবার প্রতিযোগিতার বাজারে অনেক সময় তাদের মুখ ঠুকরে পড়তেও হচ্ছে। এক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনায় এবার কেন্দ্র বড় পদক্ষেপ নিতে পারে এবং সেই জন্য নতুন টেলি কমিউনিকেশন আইন (Telecommunication New Act) প্রণয়ন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।
আগামী ২৬ জুন থেকে কেন্দ্র সরকার নতুন টেলিকমিউনিকেশন আইন লাগু করবে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে আংশিকভাবে এই আইন লাগু করার কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ জুন কেন্দ্র সরকার ১,২,১০ থেকে ৩০, ৪২-৪৪, ৪৬,৪৭,৫০-৫৮, ৬১ ও ৬২ নম্বর ধারা কার্যকর করে দেবে। আর এই নতুন আইনেই চাপ বাড়বে আম্বানি থেকে শুরু করে সমস্ত টেলিকম নেটওয়ার্ক সংস্থাগুলির।
আরও পড়ুন ? Tata AC Sell: রতন টাটার আরও এক স্বপ্নপূরণ, সস্তায় AC বিক্রি করেও আয় হাজার হাজার কোটি
টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩-এ এমন কি বলা হয়েছে, যার জন্য টেলিকম সংস্থাগুলির চাপ বাড়তে চলেছে? আসলে নতুন আইনে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, পাবলিক অর্ডার এবং অপরাধ কমানোর জন্য যেকোনো সময় সরকারের তরফ থেকে যে কোন টেলিকম সার্ভিসকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে আপাতকালীন পরিস্থিতিতে যে কোন টেলিকম সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে কাজ করতে পারবে।
নতুন এই আইনের ফলে আপাতকালীন ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার চাইলে জিও হোক অথবা এয়ারটেল বা ভোডাফোন আইডিয়ার মত টেলিকম সংস্থার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেবে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই আপাতকালীন পরিস্থিতিতে নিজেদের দাপট হারাবে ওই টেলিকম সংস্থাগুলির মালিকরা। সরকার চাইলে ওই সকল টেলিকম সংস্থার কোনরকম অনুমতি ছাড়াই নিজেদের কাজে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।