নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনকার দিনে পুরুষরা বাইরে কাজ করবেন আর মহিলারা বাড়িতে বসে হাতা খুন্তি নাড়াবেন সেই দিন আর নেই। এখন পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও বিভিন্ন অফিস কাছারি থেকে শুরু করে দোকান, শপিংমল ইত্যাদিতে কাজে নিযুক্ত। বিপুল মহিলারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার কারণে তাদের প্রতিদিনই বাড়ি থেকে কাজের জায়গা, কাজের জায়গা থেকে বাড়ি যাতায়াত করতে হয়। যাতায়াতের ক্ষেত্রে তাদের যাতে কোন সমস্যা না হয় তার জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে লেডিস স্পেশাল ট্রেন।
পূর্ব রেল রাজ্যের বিভিন্ন রুটে দীর্ঘদিন ধরেই লেডিস স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে তা প্রত্যেকেরই জানা। তবে এবার এই লেডিস স্পেশাল ট্রেনকে অতীত করে আসতে চলেছে লেডিস স্পেশাল বাস (Ladies Special Bus)। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর এবার এই লেডিস স্পেশাল বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিল। এর ফলে চাকরিজীবী থেকে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত মহিলারা অনেক সুবিধা পাবেন।
লেডিস স্পেশাল ট্রেনের মত লেডিস স্পেশাল বাস মঙ্গলবার থেকে পথচলা শুরু করবে। হাওড়া থেকে নতুন এই বাসের সূচনা করবেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকালবেলায় দুটি ট্রিপ দেবে এই লেডিস স্পেশাল বাস। বাসগুলির টাইম টেবিল এমন রাখা হয়েছে যে, ঠিক সেই সময় হাওড়ায় ঢোকে লেডিস স্পেশাল ট্রেন। এর ফলে লেডিস স্পেশাল ট্রেন থেকে নেমে সহজেই মহিলারা লেডিস স্পেশাল বাসে চড়ে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
আরও পড়ুন ? Strange facts about Cycle: ‘দুদিক চাকা মধ্যে ফাঁকা’, কেন লেডিস সাইকেলে সামনে রড থাকে না!
মঙ্গলবার থেকে লেডিস স্পেশাল বাস দুটির একটি সকাল সাড়ে ৯টায় এবং আরেকটি সকাল ১০টায় হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে। আপাতত দুটি লেডিস স্পেশাল বাস চালানো হবে বলে পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরো বৃদ্ধি করা হবে। আগামী দিনে লেডিস স্পেশাল বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শিয়ালদা স্টেশন থেকেও লেডিস স্পেশাল বাস ছাড়া হবে।
পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে আপাতত হাওড়া থেকে বালিগঞ্জ পর্যন্ত দুটি লেডিস স্পেশাল বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই যে স্পেশাল বাস চালানো হবে তার কন্ডাক্টরও হবেন মহিলা। এছাড়াও জানা যাচ্ছে, বর্তমানে নন এসি বাস দিয়ে এই পরিষেবা শুরু হলেও আগামী দিনে এসি বাস দিয়ে এমন পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এমন বাস পরিষেবা এই প্রথম নয়, এর আগেও এমন বাস পরিষেবা ২০১৩ সালে চালু হয়েছিল। কিন্তু মাস কয়েক চলার পর তা বন্ধ হয়ে যায়।