নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্ষা (Monsoon) এসেছে কে বলবে! উত্তরবঙ্গে গত ৩১ মে বর্ষা ঢুকে যাওয়ার পর ওই এলাকার জেলাগুলিতে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে কি কি, কিন্তু খাঁ খাঁ করছে দক্ষিণবঙ্গ। কে বলবে এখন চলছে বর্ষাকাল। একদিকে দক্ষিণবঙ্গে তরতড়িয়ে বাড়ছে গরম, অন্যদিকে দিন দিন বৃষ্টির (Rainfall) পরিমাণ যেন কমে যাচ্ছে। আবার এসবের মধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আরও হতাশার খবর মিললো।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস নিয়ে যা জানানো হয়েছে তাতে দক্ষিণবঙ্গ আরো শুকনো হয়ে যেতে পারে আর উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি আজ থেকে ব্রেক কষবে (Rainfall Break in WB)। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি জেলাতে কেবলমাত্র বৃষ্টি জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। আর এর ফলে বৃষ্টি নিয়ে যে আশা ছিল দক্ষিণবঙ্গবাসীদের তা রীতিমত ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস থেকে অবশ্য আরো একটি আশার আলো পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য আর সেই আশার আলোটি হল বঙ্গোপসাগরের উপর দানা বাঁধা ঘূর্ণাবর্ত। বঙ্গোপসাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে সেই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় বদল আসতে পারে। কেননা শুক্রবারের মধ্যে ওই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর এর ফলেই আরো গতি পাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত শুক্রবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। হাওয়া অফিসের যা পূর্বাভাস তাতে শুক্রবার দুপুর থেকেই আবহাওয়ায় আমূল পরিবর্তন দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।
গত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় আলো-আঁধারি খেলা চলছে। তখনই মেঘ তো আবার তখনই খটখটে রোদ। তবে এসবের মধ্যেও বৃষ্টির দেখা কিন্তু সেই ভাবে মেলেনি। এক্ষেত্রে হাওয়া অফিস যে আশার আলো দেখিয়েছে তা হল, নিম্নচাপের প্রভাবে শুক্রবার থেকে আবহাওয়ায় আমূল বদল আসার পাশাপাশি শনিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি ভারী বৃষ্টির মুখোমুখি হতে পারে।