Has the price of goods increased or decreased due to the introduction of GST: বর্তমানে ভারতের যেকোনো জিনিসের কেনাকাটায় যুক্ত হয় গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স। এই ট্যাক্স প্রায় ৭ বছর ধরে নেওয়া হচ্ছে। যে কোন রকম আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেই যুক্ত হয় জিএসটি। ২০১৭ সালের ১লা জুলাই থেকে এই ট্যাক্স প্রথা চালু হয়েছিল। ২০২৪ এর ১লা জুলাই ৭ বছর পূরণ করতে চলেছে জিএসটি। একটু ভালোভাবে হিসেব করলে দেখা যাবে জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়েছে। পণের দাম কমে গেছে জিএসটির কারণে। কর কমানোর মাধ্যমে সস্তা হয়ে গেছে পণ্যটির দামও। জিএসটির (GST) লাভ, ক্ষতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন বর্তমান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
সম্প্রতি ট্যাক্স সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে সিবিআইসি। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইন্ডিরেক্ট ট্যাক্সেস এন্ড কাস্টমসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, জিএসটি কিছু ক্ষেত্রে উপকারই করেছে জনসাধারণের। জিএসটি যুক্ত হওয়ার পর থেকে কমেছে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এই তালিকায় রয়েছে আটা, গম, টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর ইত্যাদি। এমনকি বেশ কিছু প্রসাধনী পণ্যেরও দাম কমেছে জিএসটি চালু হবার পর থেকে। এই ধরনের পণ্যগুলি আমাদের নিত্য প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। এই সমস্ত পণ্যের দাম কমলে স্বাভাবিকভাবেই উপকৃত হবে সাধারণ মানুষ।
এই তথ্য প্রকাশ্যে জানিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তার ব্যক্তিগত এক্সের হ্যান্ডেলে ১টি পোস্ট করেন। সেই পোস্ট অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বিভিন্ন পণ্যের উপর জিএসটি যুক্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু ঘরে ব্যবহৃত অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমে গেছে। ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত ও সহজ করাই দেশ সংস্করণের অন্যতম অংশ। গৃহস্থালীতে ব্যবহৃত জিনিসের দাম কমলে সাধারণ মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবর্তী পরিবার গুলিতে আর্থিক সঞ্চয়ের পরিমাণ বেশ কিছুটা বেড়ে যাওয়ার কথা। আর তা সম্ভব হয়েছে জিএসটি যুক্ত হবার কারণেই। এইভাবেই প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের জীবনযাত্রাকে আরো মসৃণ করে তুলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন ? GST: দুধ থেকে রেলের টিকিট, কোন কোন জিনিসের দাম কমল, কিসের বাড়ল? কী জানালেন অর্থমন্ত্রী
বিভিন্ন পণ্যগুলির জিএসটি যুক্ত হবার আগের দাম এবং পরের দামের মধ্যে তুলনা করে জিএসটির (GST) লাভ ক্ষতির বিষয়টিকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে সিবিআইসি। খাদ্য দ্রব্য যেমন আটা, বাটার মিল্ক, দই, মধু ইত্যাদি খাদ্যের উপর আগে সাড়ে ৩ থেকে ৬ শতাংশ কর ধার্য্য করা হত। জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে সেই করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে শূন্য শতাংশ। নিত্য ব্যবহার করা জিনিসগুলির মধ্যে অন্যতম প্রসাধনী ও ডিটারজেন্ট জাতীয় জিনিসগুলির উপর ২৮ শতাংশ কর ধার্য করা হত। জিএসটি চালু হবার আগে বিশেষ করে তেল, সাবান, টুথপেস্ট এই জাতীয় জিনিসগুলির উপর প্রায় ২৭ শতাংশ কর ধার্য করা হতো। কিন্তু জিএসটি চালু হবার পর থেকে এই জাতীয় যেকোনো পণ্যের উপর মাত্র ১৮ শতাংশ কর ধার্য করা হয়।
চুলার ক্ষেত্রেও কমেছে করের পরিমান। আগে যা ছিল ২১ শতাংশ জিএসটি যুক্ত হওয়ার পর সেই করের পরিমাণ হয়েছে মাত্র ১৮%। আগে ইলেকট্রনিক জিনিসের উপরেও কর ধার্য করা হতো ৩১.৩ শতাংশ এখন সেটাও কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৮ শতাংশ। এইভাবে ২টি বিষয়ের মধ্যে তুলনা করে জিএসটির (GST) লাভ ক্ষতির হিসাব করে ব্যাখ্যা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান জিএসটি সাধারণের মঙ্গলের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়টি সাধারণকে পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন। কোনরকম জটিলতা না লিখে সহজ সরল ভাবে জিএসটির প্রয়োগ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জিএসটি সাধারণের সুবিধার্থে তৈরি করা তা যেন কখনোই সাধারণের অসুবিধার কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখছে অর্থমন্ত্রী।