India Govt Scheme: প্রতিমাসে বসে বসে মিলবে ৩ হাজার টাকা! ভারত সরকারের এই প্রকল্প টেক্কা দিচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারকেও

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে যে সকল সরকারি প্রকল্প দেশের নাগরিকদের জন্য রয়েছে তার মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প যেগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের। এই সকল প্রকল্পের মধ্যে বেশ কিছু প্রকল্প যেগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করা প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। এই প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য ২০২১ সালে চালু করেছে।

Advertisements

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সম্পর্কে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষরা জানার পাশাপাশি তা এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মানুষদের কাছেও খুব পরিচিতি লাভ করেছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প এমন এক প্রকল্প যা রাজ্যের মহিলাদের প্রতি মাসে নগদ টাকা দিয়ে থাকে। একসময় এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ টাকা করে পেতো। বর্তমানে এই টাকা বেড়ে হয়েছে যথাক্রমে ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা।

Advertisements

তবে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প যেমন মাসে মাসে টাকা দিয়ে থাকে, ঠিক সেই রকমই কেন্দ্র সরকারেরও (India Govt Scheme) বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে যেগুলিও মাসে মাসে টাকা দিয়ে থাকে। ঠিক সেই রকমই কেন্দ্র সরকারের একটি প্রকল্প রয়েছে, যে প্রকল্পটি প্রতিমাসে উপভোক্তাদের ৩০০০ টাকা করে দেয়। কেন্দ্র সরকারের ওই প্রকল্পের আওতায় যারা রয়েছেন তারা প্রতি মাসে বাড়িতে বসেই নিজেদের অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা পেয়ে থাকেন।

Advertisements

আরও পড়ুন ? West Bengal Bus Service: দেখে সরকারি মনে হলেও সরকারি নয়! পশ্চিমবঙ্গের এই ৪ রুটের বাস পরিষেবায় এলো বদল

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডারকে টেক্কা দেওয়ার মতো কেন্দ্র সরকারের ওই প্রকল্পটি হলো কিসান মনধন যোজনা। যে প্রকল্প কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকে। তবে এই প্রকল্পের টাকা পেতে হলে কৃষকদের প্রকল্পে নাম তোলার পাশাপাশি বিনিয়োগ করতে হয়। লক্ষ্মীর ভান্ডারে অবশ্য কোনরকম বিনিয়োগ করতে হয় না। রাজ্য সরকারের প্রকল্পটির সঙ্গে কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পটির পার্থক্য এখানেই।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ২০১৯ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে পেনশন হিসেবে টাকা পাওয়া যায় ৬০ বছরের পর থেকে। প্রকল্পের আওতায় ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি কৃষকরা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। যদি কোন কৃষক ২৯ বছর বয়সে নাম নথিভুক্ত করেন তাহলে তাকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে জমা করতে হবে প্রকল্পে। বিনিয়োগকারী ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে পেনশন পাওয়ার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। যেমন বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ৫০ শতাংশ পেনশন পেয়ে থাকেন।

Advertisements