নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলকে (Indian Railways) ভারতীয় নাগরিকদের গণ পরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। ভারতীয় রেলকে এমন আখ্যা দেওয়ার পিছনে রয়েছে দেশের কোটি কোটি মানুষের রেলের ওপর ভরসা। বর্তমানে রেলের হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় দু’কোটি মানুষ রেল পরিষেবার ওপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করে থাকেন।
ট্রেনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছে বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে হয় বৈধ টিকিট। তবে টিকিটের দাম নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলতে দেখা যায় সাধারণ যাত্রীদের। টিকিটের দাম বাড়ানো থেকে শুরু করে কনফার্ম টিকিট পাওয়া ইত্যাদি নানান ক্ষেত্রে অভিযোগ রয়েছে। এসবের মধ্যে ট্রেনের টিকিটের দাম নিয়ে অভিযোগ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে করোনাকাল থেকে।
করোনাকালে রেল পরিষেবা পুনরায় শুরু হওয়ার পর ট্রেনের টিকিটের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মূলত স্পেশাল ট্রেন চালানোর কারণে দাম বাড়ানো হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে ধীরে ধীরে সেই সকল দাম আবার আগের জায়গায় আনা হয়। কিন্তু একটি ক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত রেল কোন পদক্ষেপ নেয়নি। রেল যে ক্ষেত্রটিতে পদক্ষেপ নেয়নি সেই ক্ষেত্রের জন্য দেশের লক্ষ লক্ষ যাত্রীরা মুখিয়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুন ? Port in BSNL: সহজেই অন্য নেটওয়ার্ক থেকে BSNL-এ আসবেন কিভাবে? কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে?
আসলে করোনাকাল থেকে রেল তাদের বিক্রিত টিকিটের উপর থেকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড় পুরোপুরিভাবে তুলে দেওয়া হয়েছে। ট্রেনের টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে ৬০ বছরের বেশি পুরুষ রেলযাত্রীরা ৪০ শতাংশ এবং মহিলারা ৫০% ছাড় পেতেন। একসময় এই টিকিটের ছাড় পাওয়া গেলেও এখন তা আর নেই। বিপুল পরিমাণে এই টিকিটের ছাড়ের পরিপ্রেক্ষিতে ৪০০০ টাকার টিকিট ২০০০ টাকা বা ২৪০০ টাকায় পাওয়া যেত। তবে এই ছাড় আবার ফিরে আসতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।
সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে আগামী ২৩ জুলাই যে সাধারণ বাজেট পেশ করবে কেন্দ্র সরকার সেখানেই রেল নিয়ে একের পর এক বড় বড় ঘোষণা হতে পারে। রেলের জন্য সার্বিকভাবে বরাদ্দ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটের জন্য আগের ছাড় পুনরায় ফিরিয়ে এনে স্বস্তি দেওয়া হতে পারে। তবে এর জন্য আরও দিন দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে। কেননা ২৩ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন রেল বাজেটের (Indian Railway Budget) জন্য কি কি ঘোষণা করেন তা এখন দেখার বিষয়।